রিংকি দাস ভট্টাচার্য: ধন্দ-ধোঁয়াশার অবসান। ভাঙল ১৪ বছরের রেকর্ড। দেরিতে হলেও অবশেষে রাজ্যে প্রবেশ করল বর্ষারানি৷ শুক্রবার সকাল থেকে মুখভার আকাশের৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি৷ দিনভর পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর৷ হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টা মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে৷ বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার পারদ খানিকটা নিম্নমুখী হবে এবং তার পাশাপাশি আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও খানিকটা লাঘব হচ্ছে বলেই দাবি আবহবিদদের৷
হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপের হাত ধরেই দক্ষিণে ঢুকেছে বর্ষা। মৌসুমী বায়ুকে টেনে আনতে এই নিম্নচাপই ‘ভগীরথ’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও হাওয়া অফিস বলছে, এই বর্ষা হল মৌসুমী বায়ুর বঙ্গোপসাগর (আন্দামান) শাখা, যা কিনা মূলত উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি নামায়। পরে সেটি দক্ষিণবঙ্গে নেমে আসে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার টানে সেই শাখা আপাতত দক্ষিণে বর্ষার বৃষ্টি নামিয়েছে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিবাহক মৌসুমী বায়ুর যে আরব সাগর(কেরল) শাখা, তা অবশ্য থমকে রয়েছে। যদিও প্রাকৃতিক পরিস্থিতি যাচাই করে আবহাওয়াবিদদের দাবি, নিম্নচাপের ঠেলায় শুক্রবার বর্ষা ঢুকে পড়ে। সকাল থেকেই কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি হওয়ায় অসহ্য গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে৷ ফলে দক্ষিণবঙ্গের বর্ষা-ভাগ্য বেশ প্রশস্ত, তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই৷
সাধারণত, কেরল উপকূলে বর্ষা আসার নির্ধারিত সময় ১ জুন। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার নির্ধারিত সময় ৮ জুন। তবে চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় এক সপ্তাহ পরে ৮ জুন কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। যদিও মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, এ বছর বর্ষা আসবে দেরিতে। হেরফের হতে পারে বৃষ্টির পরিমাণেও। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল৷ প্রায় ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর রাজ্যে ঢুকল বর্ষা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.