সুমন করাতি, হুগলি: লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। বাজিমাত করেছেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭৬ হাজার ৮৫৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে জেতেন রচনা। আর লকেটের এই হারের আনন্দে মুণ্ডন করালেন বিজেপি ত্যাগী দুই তৃণমূল কর্মী। পূর্ব প্রতিজ্ঞা মতো বৃহস্পতিবার ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে গিয়ে মাথা নেড়া করেন দুজন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপিতে থাকাকালীন লকেটের থেকে কোনও সাহায্য তাঁরা পাননি। সেই রাগ থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়ে লকেটের হারের প্রার্থনা করে প্রতিজ্ঞা করেন।
রাজ্যের শাসকদলে নাম লেখানোর আগে বিজেপির হয়ে সপ্তগ্রাম থেকে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েছিলেন তৎকালীন দুই বিজেপি নেতা শ্যামাকান্ত দাস ও নিমাই সানা। অভিযোগ, তৎকালীন সাংসদ লকেটের (Locket Chatterjee) থেকে তাঁরা কোনও সাহায্য পাননি। এমনকী পরবর্তীতে বিভিন্ন দলীয় বৈঠকে তাঁরা অভাব অভিযোগের কথা বললেও কর্ণপাত করেননি বিজেপি নেত্রী। তাঁদের আরও দাবি, এই দুই নেতাকে লকেট বলেন, যাঁর খুশি দল করবেন, যাঁর ইচ্ছে হবে না, তিনি দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। এর পরেই লকেটের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। শ্যামা ও নিমাই সেই সময়ই প্রতিজ্ঞা করেন, লকেটকে প্রাক্তন সাংসদ করে নেড়া হবেন। সেই মতো এই সিদ্ধান্ত।
মুণ্ডনকারী শ্যামাকান্ত দাস বলেন, “আমি আগে বিজেপি করতাম। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলাম। প্রাক্তন সাংসদের থেকে কোনও সাহায্য পাইনি। লোকসভা ভোটের আগে আমাদের যখন বৈঠকে ডাকা হল সেই কথা আমি তাঁকে বলি। আমাদের মধ্যে কথাকাটিও হয়। তখনই লকেটের সামনেই, তাঁকে বিদায়ী সাংসদ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাথা নেড়া করার কথা বলে বেরিয়ে আসি। আজ সেই প্রতিজ্ঞাই পালন করলাম।”
তৃণমূলের সপ্তগ্রাম অঞ্চলের আইএনটিটিইউসির সভাপতি অর্জুন বাঁচাল বলেন, “এঁরা বিজেপিতে ছিলেন। গেরুয়া শিবিরের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটেও লড়েন। তবে কোনও সাহায্য পাননি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে তৃণমূলে যোগ দেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.