দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দিন দিন বেড়েই চলেছে ট্যারান্টুলার আতঙ্ক৷ নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রামের এবার আরামবাগ৷ গোটা রাজ্যজুড়ে যখন ট্যারেন্টুলা আতঙ্ক মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছে, ঠিক তখনই আরামবাগের দুটি এলাকা থেকে উদ্ধার হল বিষাক্ত মাকড়সা৷ শনিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের বসন্তপুরে মঞ্জুশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ির বারান্দায় বিরাট আকারের রোমশ মাকড়সা দেখে রীতিমতো ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।
ভয়ে প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানানোর পর মাকড়সাটিকে একটি প্যাকেটের মধ্যে বন্ধ করে রাখা হয়৷ রবিবার গোটা বিষয়টি বন দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়৷
জানা গিয়েছে, আরামবাগের মুথাডাঙার পালপাড়ায় পুরানো একটি বাড়ির সংস্কারের জন্য রাজমিস্ত্রীর কাজ করছিলেন প্রতাপ রায়৷ একটি ইটের ফাঁক দিয়ে বিরাট রোমশ মাকড়সা বেরিয়ে আসে৷ বিপদের আশঙ্কা করে সঙ্গে সঙ্গে তারা করনিক দিয়ে মাকড়সাটিকে মেরে ফেলেন৷ তারপর থেকে ভয়ে তারা আর ওই পুরোনো বাড়ির ইট সরানোর কাজ করেননি৷
ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা পিন্টু সাউ ভিন রাজ্যে প্রতিবন্ধী ছেলের চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ট্যারেন্টুলার কামড় খেয়ে অসুস্ত হয়ে পরে মারা যান৷ কিছুদিন আগে চণ্ডীতলার এক যুবক মাকড়সার কামড়ে মারা যান৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ আরামবাগের ফরেস্ট রেঞ্জার নির্মল মণ্ডল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরণের মাকড়সা ট্যারেন্টুলা নয়। গ্যাঞ্জেটিক স্পাইডার প্রজাতির মাকড়সা এগুলি। এই মাকড়সার কামড়েও মারাত্বক বিষক্রিয়া হতে পারে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.