Advertisement
Advertisement

৭০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ

ধীরে ধীরে শিক্ষামন্ত্রকের অধিকাংশ বিষয় যে অনলাইনে হয়ে যাবে তাও জানান তিনি৷

After High Courts Approval, State Will Apoint 70 Thousands Teachers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 31, 2016 10:44 am
  • Updated:May 31, 2016 10:44 am  

কৃষ্ণকুমার দাস: হাই কোর্টে মামলা আটকে থাকার কারণেই টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাচ্ছে না৷ আর সেই কারণেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ করা যাচ্ছে না৷ নিয়োগের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যের তরফে চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ দ্বিতীয় দফায় দফতরের দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষা দফতরের সচিব ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সোমবার একথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ আদালতের রায় হলেই ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল তার ফল প্রকাশের পাশাপাশি নিয়োগের বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করা হবে৷

কলেজে স্নাতকে ভর্তির প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, “রাজ্যের সমস্ত কলেজে অনলাইনে মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তি হবে৷ প্রক্রিয়াটি আরও সহজ, সুদৃঢ় এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে করার জন্য সমস্ত কলেজেই নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না৷” দলের ছাত্র সংগঠনকেও দলের তরফে বলে দেওয়া হয়েছে ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে কোথাও কোনও অনৈতিক হস্তক্ষেপ করা যাবে না৷ বস্তুত এই কারণেই শিক্ষামন্ত্রীর এই বার্তা পেয়ে তৃণমূলভবনেও ছাত্র শাখার সভাপতি ও নেতারা স্পর্শকাতর কলেজগুলির ভর্তি নিয়ে এদিন বৈঠক করেন৷ ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রসঙ্গে এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, “বিভাগীয় সচিবকে বলা হয়েছে গতবারের মতো শান্তি বজায় রেখে জেলাভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করতে৷” ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে পাস-ফেল তুলে দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে জানিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্র এখনও সেই চিঠির উত্তর দেয়নি৷ কেন্দ্রের উত্তর এলেই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই তবেই রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নেবে বলে এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান৷
পরিষদীয় গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বৈঠক থাকলেও মূলত এদিন সকাল থেকে শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয় ইনিংস পুরোমাত্রায় শুরু করে দিলেন পার্থবাবু৷ দফায় দফায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি৷ রাজ্যের কোনও স্কুলেই মিড-ডে মিল পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেন ঢিলেমি না হয় তা দেখার জন্যও তিনি কড়া নির্দেশ দেন৷ সর্বশিক্ষা অভিযানের কর্তাদের বিভিন্ন স্কুলে ঘন ঘন সরেজমিনে পরিদর্শন করে খাবারের মান ও স্বাদ পরীক্ষা করতেও বলেন তিনি৷ স্কুলে জুতো বণ্টনের প্রকল্পটি দ্রূত সম্পূর্ণ করার জন্যও দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলেন৷ যে সমস্ত স্কুলের বাড়ি এবং পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে সেগুলি নিয়েও নানা ভাবনাও রয়েছে৷
তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গতবারের চেয়েও অনেক বেশি দ্রূততার সঙ্গে সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বলেছেন৷ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে৷ শিক্ষা দফতরের নিচুতলায় এখনও পুরোপুরি গতি আনা যায়নি, সেদিকে এবার বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷” অনলাইনে পেনশন প্রকল্প চালুর পাশাপাশি এবার অবসরকালীন সুবিধাও দ্রুত শিক্ষক ও অধ্যাপক এবং শিক্ষাকর্মীদের দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন পার্থবাবু৷ বলেন, “অবসরের ছয় মাস আগে সমস্ত নথি ও বিষয়টি দফতরকে জানাতে হবে৷ আবার সংশ্লিষ্ট কলেজকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি যিনি অবসর নেবেন তাঁকেও শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হবে৷”
যে সমস্ত স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলি পর্যায়ক্রমে ফের শুরু হবে বলেও এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান৷ বলেন, “বাম জমানার দেনার মতোই শিক্ষা দফতরে প্রচুর ফাইল জমা ছিল৷ নিয়োগ নিয়েও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ছিল৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব ‘অসমাপ্ত’ কাজ সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি দফতরেও গতি আনতে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে৷” শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়াটিও শুরু হয়েছে৷ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রক্রিয়াটি চলছে৷ ধীরে ধীরে শিক্ষামন্ত্রকের অধিকাংশ বিষয় যে অনলাইনে হয়ে যাবে তাও জানান তিনি৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement