ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলার ঘটনায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত চালাচ্ছিল ইডিও। সেই মামলাতেই সিবিআইয়ের পর এবার শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করল ইডি। জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতার অভিযোগে শ্যোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে শাহজাহানকে। সবমিলিয়ে আরও চাপে সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শাহজাহান।
রেশন দুর্নীতি মামলায় গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা শাহজাহানের খোঁজ পাননি। পরিবর্তে জখম হন তাঁরা। শাহজাহান অনুগামীদের আক্রমণে ঝরে রক্তও। এই ঘটনার ৫৫ দিন পর রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন শেখ শাহজাহান। এরপর মামলার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। বর্তমানে বসিরহাট জেলই ঠিকানা শাহজাহানের। এই মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ইডিও। আদালতের অনুমতিতে শনিবার দুপুরে জেলেই শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর বিকেলে জানা যায় জেলের ভিতরেই শাহজাহানকে খাতায় কলমে গ্রেফতার করেছেন তাঁরা। তবে আপাতত শাহজাহানকে হেফাজতে নিচ্ছে না ইডি। আদালতের বাকি প্রক্রিয়া শেষে প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে তারা।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর মামলায় ৩১ কোটি কুড়ি লক্ষ টাকার তছরূপ হয়েছে। এ পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা। সেই বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে জমি, ফ্ল্যাট, মাছের ভেড়ি। সন্দেশখালি, সরবেড়িয়া এবং কলকাতায় সেই সব সম্পত্তি রয়েছে। আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত মামলায় সন্দেশখালির বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, এদিন জেলে ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট জেরা পর্বে এনিয়ে কোনওরকম সহযোগিতা করেনি শাহজাহান। এরপরই তাঁকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয় ইডি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.