Advertisement
Advertisement

এবার প্রাণ কাড়তে হাজির মারণ গেম ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’

চলন্ত ট্রাকের নিচে শুয়ে সেলফি তুলতে হবে৷ এটাই ছিল 'টাস্ক'।

After 'Blue Whale', killer 'Salt and Ice' sparks panic in Bengal
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 31, 2017 4:00 am
  • Updated:October 1, 2019 6:04 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: একে ব্লু হোয়েলে রক্ষে নেই। হাজির তার দোসর ‘সল্ট অ্যান্ড আইস’। এবার অনলাইন মারণ গেমের ছায়া শিলিগুড়িতে৷ ব্লু হোয়েলের ধাঁচে ঘাতক এই গেমে মজে মৃত্যুর মুখ থেকে কোনওরকমে বেঁচে ফিরল দশম শ্রেণির এক ছাত্র৷

‘সল্ট অ্যান্ড আইস’ নামে গেমের টানে রীতিমতো জীবন খোয়াতে বসেছিল শিলিগুড়ির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই পড়ুয়া৷ খেলতে খেলতে শেষে ওই ছাত্রকে ‘টাস্ক’ দেওয়া হয়েছিল, চলন্ত ট্রাকের নিচে শুয়ে সেলফি তুলতে হবে৷ সেই কাজে সফল হতে রীতিমতো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল ছাত্রটি৷ তবে, ক্ষণিকের অমনোযোগ আর মোক্ষম সময়ে একটা ফোন৷ এই দুইয়ের যোগফলই প্রাণ বাঁচিয়ে দিল ওই কিশোরের৷ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ জানিয়ে ছাত্রের বাবা শিলিগুড়ি সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ তবে অভিযোগে অনেক কিছুই তাঁরা স্পষ্ট করেননি বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

Advertisement

[‘ব্লু হোয়েল’ বেশি খোঁজা হচ্ছে কলকাতাতেই, আতঙ্কে অভিভাবকরা]

ওই পড়ুয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয় সাইবার থানায়৷ তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এমনকী প্রয়োজনে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিং৷ তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি৷  এমন গেমে কীভাবে ওই ছাত্র যুক্ত হল তা জানা দরকার৷ শহরে এমন ঘটনা প্রথম৷ এটা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার৷”

শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই ছাত্র বেশ কিছুদিন ধরে মারণ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি  পরিবারের কেউ৷ গত শুক্রবার ছিল গেমটির শেষ টাস্ক৷ সেখানে রাস্তায় চলন্ত ট্রাকের নিচে সেলফি তুলতে নির্দেশ দেয় অচেনা গেমের অ্যাডমিন৷ সেইমতো শুক্রবার দুপুর থেকে স্কুলের কাছেই সুকনায় রাস্তার ধারে ট্রাকের অপেক্ষায় ছাত্রটি বসে ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ এ জন্য সে স্কুলেও যায়নি৷ কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি বসে থেকেও ট্রাকের দেখা মেলেনি৷ পাহাড়ে বনধের জেরে সুকনার রাস্তায় এখন যানবাহন চলছে না বিশেষ৷ ফলে গেম শেষ করতে পারবে না ভেবে ছেলেটি মনমরা হয়ে পড়ে৷

[৩৮ জনের মৃত্যুর নেপথ্যে রাম রহিমের ‘লাল ব্যাগ’]

এমন সময় এক কাকার ফোন আসে তার মোবাইলে৷ ফোন ধরে মুখ ফসকে সে বলে ফেলে, “আই অ্যাম গোয়িং টু কমিট সুইসাইড৷” বিষয়টি বুঝতে না পেরে ভয় পেয়ে তড়িঘড়ি ছাত্রের বাবাকে ফোন করেন ওই ব্যক্তি৷ এরপরই বাবার ফোন পেয়ে ছাত্রটি ভয় পেয়ে বাড়িতে ফিরে আছে। তার মুখ থেকে গোটা ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে যায় ওই স্কুল পডু়য়ার পরিবার৷ বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে প্রথমে দু-তিনদিন তাকে নানারকম প্রশ্ন করে উত্তর জানার চেষ্টা করেন বাড়ির লোকজন৷ প্রথমে মুখ না খুললেও পরে ধীরে ধীরে ছাত্রটি গেমের বিষয়ে সবটাই বলে৷ এর পরই মঙ্গলবার শিলিগুড়ির এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিষয়টি জানিয়ে পরামর্শ চান উদ্বিগ্ন ওই ছাত্রের বাবা৷ তাঁদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেন আইনজীবী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement