সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: ব্লু হোয়েলের পর এবার প্রাণঘাতী মোমো৷ কিশোরের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় মোমো খেলার আতঙ্ক ছড়াল কার্শিয়াংয়ে৷ মোমোর কবলেই মৃত্যু, এমন ‘গুজব’ রটতেই আতঙ্ক পাহাড় থেকে সমতলে৷ যদিও, দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পাহাড়ে মোমো গেমে কিশোরের মৃত্যুর খবর পুরোটাই গুজব৷
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মণীশ সার্কি (১৮)। কার্শিয়াংয়ে নিজেদের ফার্মহাউসে গত ২০ আগস্ট রাতে ঝুলন্ত দেহ মেলে ওই তরুণের। ফার্মহাউসের দেওয়ালে বিভিন্ন নাম লেখা আছে। তা দেখে সন্দেহ হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, মোমো গেমের ফাঁদে পড়েছিল কিশোর। পুলিশের তরফে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানানো হয়নি। তবে, দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদীর দাবি, ওই কিশোরের মোবাইল ঘেঁটে মোমো গেমের লিঙ্ক পাওয়া যায়নি। জিটিএ-র ডেপুটি চেয়ারম্যান অনিত থাপা মোমোর মতো মারণ গেম নিয়ে পাহাড়বাসীকে সচেতন থাকার কথা বলেছেন৷
[সাতসকালেই তৃণমূল কার্যালয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ২]
দু’দিন আগে জলপাইগুড়ির এক কলেজ ছাত্রীও মোমো চ্যালেঞ্জের খপ্পরে পড়ে বলে অভিযোগ। ‘আমি মরে যাব’। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে অভিমানে হোয়াটস অ্যাপের স্ট্যাটাসে এ কথা লিখেছিলেন জলপাইগুড়ির কলেজ ছাত্রী। তারপরই শুরু হয় অচেনা নম্বর থেকে একের পর এক মেসেজ আসা। মারণ খেলায় সঙ্গী হওয়ার আবেদন। ভয়ে পেয়ে যান ছাত্রী। দ্রুত দাদার শরণাপন্ন হন। তারপর দাদারই পরামর্শে ব্লক করে দেন ওই অচেনা নম্বরটি। অভিযোগ দায়ের করেন থানাতে। ছাত্রীটিকে মেসেজে বলা হয়, ‘হাই, আই অ্যাম মোমো’। ছাত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘হু?’। উত্তর আসে, ‘ইটস মাই নেম। শ্যাল উই প্লে আ গেম’। এই মারণ খেলার বিষয়টি জানাজানি হতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় মোমোর বিকৃত মুখের ছবি। আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া, ব্লু হোয়েল গেমের মতোই একটি মারণ খেলা এই ‘মোমো’। কীভাবে তৈরি হচ্ছে সমস্যা? জানা গিয়েছে, প্রথমে ফেসবুকে একটি লিঙ্ক ছড়ায়। ওপেন করলে অজানা নম্বর থেকে ফোন। ফেসবুক থেকে খেলাটি ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপে। লিঙ্ক খুললেই একটি জাপানি মেয়ের মুখের আদলে বিকট ছবি ভেসে ওঠে। সেই মেয়েটিই বলে নির্দেশ না মানলে বিপদ হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.