অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: প্রথম সন্তান। তাই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হতে আর ঝুঁকি নেননি পরিবারের লোকেরা। প্রসূতিকে নিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। প্রায় পাঁচদিন হাসপাতালের ভরতিও ছিলেন প্রসূতি। অভিযোগ, পাঁচ দিন পর পরিবারের লোককে চিকিৎসকরা বলেন, প্রসব হতে এখনও দেরি আছে। সন্তানসম্ভবা মহিলাকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। কিন্তু, বাড়ির ফেরার পথে ফের প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয়ে যায় ওই মহিলার। হাসপাতাল চত্বরেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। মুর্শিদাবাদে ডোমকলে এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস।
[ভিক্ষার চাল বিক্রি করে শৌচাগার নির্মাণ, বহরমপুরে নজির বৃদ্ধার]
সদ্য মা হওয়া ওই তরুণীর বাড়ি মুর্শিদাবাদেরই জলঙ্গিতে। বাড়ির লোক যথেষ্ট সচেতন। তাই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হতেই তড়িঘড়ি ওই যুবতীকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। কিন্তু, পাঁচ দিন ভরতি থাকার পরও, প্রথম সন্তানের জন্ম হল রাস্তায়! ঘটনার রীতিমতো ক্ষুদ্ধ পরিবারের লোকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, ‘রাস্তাতেই যদি সন্তান প্রসব হবে, তাহলে প্রসূতিকে আর হাসপাতালে রাখার আর কী দরকার পড়ল?’ পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, দিন পাঁচেক আগে বাড়িতে আচমকাই প্রসবযন্ত্রণা শুরু হয় ওই যুবতীর। ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হলে, তাঁকে ভরতি করে নেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসক সুমন বাগদির অধীনে ভরতি ছিলেন ওই যুবতী।
শনিবার সকালে ওই চিকিৎসক প্রসূতি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রসব হতে এখনও দেরি আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে ওই যুবতীকে নিয়ে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পরিজনেরা। কিন্তু, হাসপাতাল চত্বরেই ফের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় এবং রাস্তায় কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই যুবতী। ঘটনার পর, ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকেরা। ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে কীভাবে এমনটা ঘটল? তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস। তাঁর সাফাই, এটি অত্যন্ত বিরল ঘটনা। এদিকে আবার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিন কয়েক আগে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রসবের সময়ে চিকিৎসকের হাত থেকে পড়ে গিয়েছিল সদ্যোজাত। মাথায় গুরুতর লাগে তার। দিন তিনেক পর মারা যায় শিশুটি।
[অনিচ্ছা সত্ত্বেও যাত্রীদের জোরাজুরিতে টোটো চালাল নাবালক, বেঘোরে মৃত ৭]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.