ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: অবশেষে শান্তি ফিরল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University)। প্রায় ৮০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হলেন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের কর্মসচিব এবং দুই আধিকারিক। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে বার করে নিয়ে যান শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। আধিকারিকদের উদ্ধারের সময় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান।
করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তবে হস্টেল এখনও বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে দূরদুরান্ত থেকে আসা পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়েছেন বলেই দাবি। মূলত হস্টেল খোলার দাবিতেই আন্দোলন পড়ুয়াদের। হস্টেল খোলা-সহ কয়েক দফা দাবিতে সোমবার সকাল থেকে পড়ুয়াদের আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। রেজিস্ট্রারের ঘর বন্ধ করে আন্দোলনে শামিল হন পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাসের গেট টপকে ভিতরে ঢুকে মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালার ক্লাস বন্ধ করে দেন তাঁরা। প্রায় ৮০ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় অফিসের কর্মসচিব এবং দুই আধিকারিককে।
বৃহস্পতিবার আন্দোলনের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। আন্দোলনে জড়িত এক ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেও আদালতে অভিযোগ জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানান, আন্দোলন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপে বাধা দিতে পারবেন না আন্দোলনকারীরা। কোনও আধিকারিকের যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করা যাবে না। একইসঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, পড়ুয়াদের যে দাবি রয়েছে তা ১০ দিনের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে জমা দিতে হবে।
এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বভারতীয় কেন্দ্রীয় অফিসে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) থানার পুলিশ যায়। রেজিস্ট্রার এবং দুই আধিকারিককে ঘেরাওমুক্ত করেন পুলিশকর্মীরা। তবে সেই সময়ও বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.