Advertisement
Advertisement

স্বাধীনতা আন্দোলনের মশাল জ্বালিয়েও কৈকুরি গ্রাম অন্ধকারে

অন্ধকারে ডুবে ’৪২-এর সেই শহিদগ্রাম কৈকুরি!

After 70 Years Of Independence, No Electricity In Kaikuri Village
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 8, 2016 11:14 am
  • Updated:November 8, 2016 11:14 am

রাজা দাস: ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাকটা এসেছিল শহিদভূমি তৎকালীন মেদিনীপুর থেকে৷ মশাল জ্বেলে জমির এবড়ো-খেবড়ো আলপথ ধরে প্রাণপণ ছুটেছিলেন গ্রামের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে৷ বন্ধুদের ডাক দিয়েছিলেন ইংরেজ তাড়ানোর৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার কৈকুরি গ্রামের সোমরা ওরাওঁয়ের ডাকে গোটা গ্রাম ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল৷ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ১৯৪২ সালের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে৷ চারজন শহিদও হয়েছিলেন৷ বুকে পিঠে ইংরেজের গুলি খেয়েছিলেন আরও জনা কুড়ি বীর৷ তাঁরা ভারতের স্বাধীনতা দেখে গিয়েছেন, কিন্তু জেলার এক কোণে পড়ে থাকা আউটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতে কৈকুরি গ্রামের আলপথে মাটি বা মোরাম পড়তে দেখে যেতে পারেননি৷
দৃষ্টি ক্ষীণ হয়েছে৷ হাঁটাচলা অনেক ধীর৷ তবু গ্রামে বিজলিবাতি জ্বলার অপেক্ষায় এখনও প্রতিটি সন্ধ্যা উঠোনে বসেই কাটিয়ে দেন ৯৮ বছরের সোমরা ওঁরাও৷ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়ের সেই চব্বিশ বছর বয়সটা আর একবার ফিরে পেতে চান সোমরা৷ তাহলে এবার হয়তো উন্নয়নের ডাক দিয়ে গ্রামবাসীকে জড়ো করার জন্য ফের একবার মশাল হাতে সেই আলপথ ধরে দৌড় লাগাতেন৷ ইংরেজরা চলে গিয়েছে৷ ভারতে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭০ বছর পরও অন্ধকার কাটেনি  আদিবাসীদের গ্রাম বলে পরিচিত কৈকুরির৷
এখনও গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটি পড়েনি, পানীয় জলের কোনও সংস্থান হয়নি, রাস্তায় মোরাম পড়েনি, স্কুল-কলেজ তো দূরের কথা৷ এই বিপ্লবী গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদেরকে টেনে তোলা, অন্ধকারে আলোর কথা শোনানোর কোনও তাগিদ দেখা যায়নি স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লক প্রশাসন কারও৷ তাই তারা আজ জেলাশাসকের দ্বারস্থ৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক সঞ্জয় বসু জানান, তিনি গ্রামটি দেখে এসেছেন৷ গ্রামটির উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি৷ কথাগুলি সোমরা ওঁরাওয়ের কানেও এসেছে৷ দেরিতে হলেও গ্রাম উন্নয়নের আলো দেখবে এই খবরে তাঁর চোখ ছলছল করে ওঠে৷ স্বাধীন ভারতের কাছে তো তাঁর আর কোনও দাবি ছিল না৷ শুধু চেয়েছিলেন, সবার কাছেই উন্নয়নের আলো পৌঁছক৷

Advertisement

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement