Advertisement
Advertisement

৪০ বছরের দাবি পূরণ, অবশেষে চালু হল ওদলাবাড়ির গ্রামীণ হাসপাতাল

খুশি এলাকার বাসিন্দারা।

After 40 years Udlabari finally gets a hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 7, 2018 5:37 pm
  • Updated:May 7, 2018 5:37 pm  

অরূপ বসাক, মালবাজার: প্রায় ৪০ বছরের দাবি পূরণ হল সোমবার৷ আজ থেকেই চালু হল জলপাইগুড়ির মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ির গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা৷ প্রায় ৭ বছর আগে এলাকাবাসীর দাবি মতো ওদলাবাড়িতে তৈরি হয় ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল। ৩০ বেডের এই হাসপাতালটি পূর্ত দপ্তর প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করে৷ গত মাসেই এই হাসপাতালের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যায়৷

[পুড়িয়ে মারতে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে আগুন, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে]

দীর্ঘদিনের দাবি মেনে এই হাসপাতালের পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ৷ এই হাসপাতালের চিকিৎসক দীপক রঞ্জন দাস এদিন বলেন, ‘‘আজ এই হাসপাতালের পরিষেবা চালু হয়ে গেলেও আগামীতে মুখ্যমন্ত্রী এই হাসপাতাল আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবেন৷ ইতিমধ্যে চারজন চিকিৎসক, ন’জন নার্স, গ্রুপ ডি সাত জন এবং সুইপার চার জন রয়েছে৷ ৩০ বেডের এই গ্রামীণ হাসপাতালে ওটি, লেবার রুম, মেল, ফিমেল বেড, সদ্যোজাতদের রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ইমার্জেন্সি রুম, নার্স ও চিকিৎসকদের রাতে থাকার ব্যবস্থা। আগামীতে এক্স-রে মেশিন আসছে এই হাসপাতালে। ইতিমধ্যে পাঁচ জন মহিলা ভরতি রয়েছেন এই হাসপাতালে৷

Advertisement

এলাকার বাসিন্দা নির্মল রায়, মনোজ গুপ্তা, রমেশ রাইদের বক্তব্য, ‘‘আজ আমরা খুব খুশি। এতদিন রাত-বিরেতে কেউ অসুস্থ হলে মালবাজার, জলপাইগুড়ি অথবা শিলিগুড়ি নিয়ে যেত হত৷ আর এতে অনেক রোগী রাস্তায় মারাও যেত। আমাদের এই এলাকার চার দিকে চা বাগান, বনবস্তি ও পাহাড়ের একাংশের মানুষের  বসবাস। সেই কারণে এলাকায় একটি হাসপাতালের দাবি ছিল। রাজ্য সরকার এই হাসপাতাল তৈরি করায় আজ আমরা খুব খুশি।’’

[ভোটের আঁচে তপ্ত বাংলা, রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের প্রাণ গেল তৃণমূল কর্মীর]

হাসপাতালের বিএমওএইচ প্রিয়াঙ্কা জানা বলেন, ‘‘চিকিৎসা পরিষেবা চালু হয়ে গেল আজ থেকে৷ আমরা যতটা সম্ভব পরিষেবা দেব গ্রামের মানুষকে। যাতে গ্রামের মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। আগামিদিনে আরও চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য দপ্তরের কর্মীরা যোগ দেবেন। বাড়বে বিভিন্ন ইউনিট। মানুষকে ভাল পরিষেবা দিতে পারলে আমাদেরও ভাল লাগবে৷’’

মালবাজারের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বড়াইক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে রাজ্যের উন্নয়ন করে চলেছেন, তার একটা বড় উদাহরণ এই হাসপাতাল।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কথা শোনেন। তাই এলাকার মানুষের চাহিদামতো এলাকায় হাসপাতাল তৈরি করে দিয়েছে। যাতে গ্রাম এবং চা বাগানের মানুষ ভাল পরিষেবা পান। আর এতে আমরাও খুশি।’’

[হস্টেলে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ ৪১ জন ছাত্রী, আতঙ্ক চন্দননগরে]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement