Advertisement
Advertisement
সঞ্জীবন হাসপাতাল

ফুলশয্যায় থাবা বসিয়েছিল করোনা, হাসপাতালে ফের মালাবদল করোনাজয়ীর

সঞ্জীবন হাসপাতালে সুস্থ হওয়া স্বামীকে নিয়ে মঙ্গলবার ঘরে ফিরলেন নববধূ।

After 14 days Newly Wed Groom again marries Wife as he cured COVID-19
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 16, 2020 4:38 pm
  • Updated:June 16, 2020 4:53 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: সঞ্জীবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে তখন মৃদু স্বরে বেজে চলেছে রবীন্দ্রসংগীত ‘…… মোরে আরও আরও দাও প্রাণ’। বধূর গলায় রজনীগন্ধার মালা। কনের সাজে হাজির নববধূ পিয়ালি বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত সকলের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর একটা। বেরিয়ে এলেন বর সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা গ্রাউন্ড ফ্লোর ভরে উঠল হাততালিতে। সঙ্গে সঙ্গে ধ্বনিত হল শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি। যুগলকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে বরণডালা দিয়ে বরণ ডালিয়া মিত্র ও মন্ত্রী নির্মল মাজি। হল আংটি বদল। শুভেচ্ছা জানিয়ে উপহার দেওয়া হল যুগলকে। বাড়ি ফিরল যুগল।

পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে মনে হবে কোনও বিয়ে বাড়ি। কিন্তু না! বিয়ে বাড়ি নয়, এই অনুষ্ঠান হল করোনাজয়ী স্বামীকে নিয়ে করোনা হাসপাতাল থেকে নববধূর ঘরে ফেরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার স্বামীকে করোনা হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে গেলেন পিয়ালি। গত ২ জুন বিয়ে হয় দাসনগর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ৩ তারিখে জানা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। অধরা থেকে গিয়েছিল ফুলশয্যা। থমকে গিয়েছিল এক নতুন জীবনের সূচনা। এদিন করোনাজয়ী স্বামীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরে যারপরনাই খুশি বধূ পিয়ালি। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সুপ্রিয়কে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকার বা ফুলশয্যার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলের পর এবার করোনা পজিটিভ পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, উদ্বিগ্ন শাসকদল]

এদিন হাসপাতালে অনুষ্ঠানের পর সুপ্রিয় জানান, ‘প্রথম দিন যথেষ্ট ভয় পেয়েছিলাম। তবে থানার বড়বাবু অরূপ রায়চৌধুরি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছিলেন কোনও ভয় নেই। তুমি সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরবে। এখন আর ভয় নেই। সকলকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’ তবে তিনি আবার শ্রীঘ্রই কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন। বধূ পিয়ালিরও চোখে-মুখে তখন যুদ্ধ জয়ের হাসি। তিনিও জানালেন, ‘সত্যিই ও যেদিন করোনা আক্রান্ত হয় সেদিন খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আজ সত্যিই চাপমুক্ত।’ এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারলেন না তবে তিনি যে কতটা আনন্দিত মুচকি হেসেই বুঝিয়ে দিলেন। এদিন তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন সুপ্রিয়র বাবা সুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দাদা সুমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিয়কে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি ফেরেন। বাকিরা অন্য গাড়িতে বাড়ি ফেরেন। হাসপাতালের কর্তা শুভাশিস মিত্র ও ডালিয়া মিত্র বলেন, এটা জীবনের জয়গান। এক অন্য দিন উৎযাপিত হল হাসপাতালে। মন্ত্রী নির্মল মাজিও তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন কামনা করেন।

[আরও পড়ুন: বিড়ির নেশায় কোয়ারেন্টাইনের পাঁচিল টপকাল পরিযায়ী! বিপর্যয় আইনে মামলা ঠুকল পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement