Advertisement
Advertisement
আফরাজুল

মোদি আবার ক্ষমতায় আসুক চায় না আফরাজুলের পরিবার

আফরাজুলের মৃত্যুর স্মৃতি আজও কষ্ট দেয় তাঁর পরিজনদের৷

Afrajul Khan’s family don't want to re-elected BJP in Loksabha Election
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 7, 2019 5:38 pm
  • Updated:April 17, 2019 4:04 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট  যত এগোচ্ছে, ততই চড়ছে উন্মাদনার পারদ৷ দিল্লি দখলের লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবে, ক্রমশই প্রকট হচ্ছে সেই প্রশ্ন৷ নির্বাচনী উত্তাপে গা ভাসিয়েছেন আপামর দেশবাসী৷ তাতে মাথাব্যথা নেই রাজস্থানে গিয়ে মৃত বাংলার শ্রমিক আফরাজুলের গ্রামের বাসিন্দা৷ তাঁদের একটাই প্রার্থনা আবারও যেন কেন্দ্রের ক্ষমতায় না আসে গেরুয়া শিবির৷ বিজেপি ক্ষমতায় এলে হয় তো আরও আফরাজুলকে প্রাণ দিতে হবে৷ স্বজনহারা যন্ত্রণায় দিন কাটাতে হবে পরিজনদের৷ তাই আর কোনওভাবেই বিজেপিকে চান না আফরাজুলের পরিজন-প্রতিবেশীরা৷  

[ আরও পড়ুন: ‘দিল্লির বাবুরা পাহাড় জ্বালায়’, নির্বাচনী প্রচারে নাম না করে মোদিকে কটাক্ষ মমতার]

ডিসেম্বর, ২০১৭৷ রাজস্থানের রাজসমন্দে ঘটে গিয়েছিল অঘটন৷ বেধড়ক মারধর করে জীবন্ত গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে খুন করা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে৷ অনেক আলাপ আলোচনার পর জানা যায় নিহতের সঙ্গে যোগ রয়েছে বাংলার৷ আফরাজুল নামে ওই ব্যক্তি আসলে মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা৷ শ্রমিকের কাজ নিয়ে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেখানেই নাকি এক হিন্দু তরুণীর সঙ্গে মন বিনিময় হয় আফরাজুলের৷ বিয়েও করেছিলেন দু’জনে৷ এটাই ছিল আফরাজুলের ‘অপরাধ’৷ ‘লাভ জেহাদে’র অভিযোগে শম্ভুলাল রেগার নামে এক ব্যক্তি জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল তাঁকে৷ একটি ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে আফরাজুলের শেষ মুহূর্তের হাহাকারের সাক্ষী হতে পেরেছিলেন অনেকেই৷ শম্ভুলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঠিকই৷ তবে আফরাজুলকে মৃত্যুর যথার্থ সাজা সে এখনও পায়নি৷ রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য পেয়েছিল হতদরিদ্র পরিবার৷ তবে বিজেপির কেউই ফিরেও তাকায়নি স্বজনহারাদের দিকে৷

Advertisement

AFRAJUL

[ আরও পড়ুন: বাড়ির সামনে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ ফ্লেক্স, ফেসবুকে ক্ষোভপ্রকাশ বাবুল সুপ্রিয়র]

প্রতিবাদ মিছিল, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে কেটে গিয়েছে দু’টি বছর৷ তবে আফরাজুলের পরিবার-পরিজনের ক্ষত দগদগে৷ গ্রামের কেউ ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে গেলে এখনও গায়ে কাঁটা দেয় স্থানীয়দের৷ কোথাও কোনও মৃত্যু সংবাদ পেলেই বুক কেঁপে ওঠে৷ ঘরের ছেলের অবস্থা আফরাজুলের মতো হয়নি তো? বাড়ি থেকে হেঁটে বেরোনো ছেলে কফিনবন্দি হয়ে ফিরবে না তো? এমনই নানা আশঙ্কায় অন্তঃসারশূন্য হয়ে বেঁচে রয়েছেন কালিয়াচকের বাসিন্দারা৷

[ আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সভার পর অশান্তি-সংঘর্ষ, কোচবিহারে নিহত বিজেপি কর্মী]

সময় এগিয়ে চলেছে নিজের গতিতে৷ আবারও বেজে গিয়েছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের বাদ্যি৷ ভোটপ্রচারে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষই৷ মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কালিয়াচক৷ সেখানে গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে লড়ছেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি৷ জোরদার প্রচার করছেন তিনি৷ ছেলেকে হারানোর পর থেকে পাথর হয়ে গিয়েছেন আফরাজুলের বাবা-মা৷ কান্না থেমে গিয়েছে ঠিকই তবে স্বামীর নৃশংস মৃত্যুর স্মৃতি আজও সমান যন্ত্রণা দেয় আফরাজুলের স্ত্রীকে৷ ভোট নিয়ে সেভাবে কোনও উৎসাহ নেই তাঁর৷ তবে একটাই বক্তব্য, দিল্লির মসনদে আবারও বিজেপি আসুক, তা চান না আফরাজুলের পরিবারের কেউই৷ মুখে মুখে এখন একটাই কথা, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে কে বলতে পারে আগামী পাঁচ বছরে কতগুলি আফরাজুলের প্রাণ যাবে৷ যন্ত্রণায় ছটফট করতে হবে কত পরিজনদের৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement