দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনারপুরে ব্যবসায়ী কমল বৈদ্য খুনের ঘটনায় নয়া মোড়৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলায় স্ত্রীর প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হয়েছে ওই যুবককে৷ নিহতের এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে জেরায় এমনই তথ্য পেল সোনারপুর থানার পুলিশ৷ এখনও দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে নিহতের স্ত্রীকে৷
সোনারপুরের ধামাইতলার বাসিন্দা কমল বৈদ্য শুক্রবার সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরোন৷ এলাকার বিভিন্ন দোকানে হার্ডওয়ারের জিনিসপত্র সরবরাহ করতেন বছর পঁয়ত্রিশের কমল৷ স্ত্রীর থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ওইদিন বাড়ি থেকে বেরোন তিনি৷ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ শেষবার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কমল৷ পরিজনদের দাবি, এরপর ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় তাঁর৷ আর কোনওভাবেই কমলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি৷ রাতে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি৷ শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কামালগাজি-বারুইপুর বাইপাসের কাছে কমলের গলাকাটা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা৷ সোনারপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়৷
নিহতের স্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী প্রথমে পুলিশ মনে করে ঋণ শোধ করতে না পারায় খুন হতে হয়েছে কমলকে৷ কিন্তু স্ত্রীকে জেরায় মেলে একাধিক অসঙ্গতি৷ তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের৷ কমলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জেরা করে খুনের ঘটনায় তৃতীয় ব্যক্তির যোগসূত্র পায় পুলিশ৷ তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নিহত কমলের বন্ধু মিঠুনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তার স্ত্রীর৷ ঘনিষ্ঠ অবস্থায় একদিন মিঠুন এবং নিজের স্ত্রীকে দেখে ফেলেন কমল৷ তারপর থেকে এই সম্পর্কের কথা জেনে যায় কমলের পরিজনেরাও৷ স্ত্রী ও বন্ধুর সম্পর্কের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কমল৷ বাধা দূর করতেই কমলকে খুনের পরিকল্পনা করে মিঠুন৷ খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করে মিঠুনের বন্ধু অনুপম৷ নিহতের স্ত্রীকে জেরা করেই অনুপমের খোঁজ পায় পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ যদিও কমলের দেহ উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা মিঠুন৷ তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ৷ খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.