বিক্রম রায়, কোচবিহার: স্বদেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে ভরসা নেই। ছেলের পড়াশোনার জন্য প্রতিবেশী ভারতে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক বাসিন্দা। পরীক্ষা শেষের পর ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যেতে কোচবিহার সীমান্ত দিয়ে এদেশে ঢুকেই শুরু হয় ভারত-বিরোধী মন্তব্য করা। আর এই ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট এলাকা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তাঁর ভিসা বাতিল করল প্রশাসন। স্থানীয় গাড়ি, টোটো চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ আজাদুর রহমান ছেলে পড়াশোনা করে ভারতে। তার পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এপারে এসেছিলেন রহমান। কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এদেশে প্রবেশের পর আজাদুর রহমান গাড়ি নিয়ে সমস্যায় পড়েন। তখনই তিনি মেজাজ হারিয়ে ভারতের উদ্দেশে অশ্রাব্য মন্তব্য করতে থাকেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চ্যাংড়াবান্ধার জিরো পয়েন্ট ট্যাক্সি চালকদের অভিযোগ, আজাদুর রহমান এক ট্যাক্সি চালককে কটূ কথা বলেন। তাতেই কার্যত খেপে ওঠেন সেখানকার চালকরা। ওই বাংলাদেশি নাগরিককে সেখানেই কার্যত আটকে রেখে প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। মেখলিগঞ্জ থানায়ও চালকরা অভিযোগ জানান, ভারতে এসে সামান্য গাড়ি নিয়ে বচসার জেরে বাংলাদেশি নাগরিক আজাদুর রহমান এই দেশ নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন।
এরপরই মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ স্ট্যান্ডে গিয়ে আজাদুর রহমান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। নিয়ে যাওয়া হয় থানার লক আপে। পরে প্রশাসনের তরফে তাঁর সমস্ত নথিপত্র দেখে ফরেনার রিজিওনাল অফিশিয়াল ভিসা বাতিল করা হয়। ভারতে এসে ভারতেরই নিন্দা করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত বছর বাংলাদেশের অরাজক পরিস্থিতির পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের খানিকটা অবনতি ঘটে। দু’পারের বাসিন্দাদের মধ্যে যাতায়াতও খানিকটা কমে গিয়েছিল। সেই আবহেই ভারতে প্রবেশ করে ভারতকেই গালিগালাজ করার মতো অভিযোগে ফের সীমান্ত এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.