Advertisement
Advertisement
কুলগাম

কুলগাম কাণ্ডে কেন্দ্রকে তোপ, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন অধীর চৌধুরির

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সকালেই সাগরদিঘি যান সাংসদ খলিলুর রহমান ও মন্ত্রী জাকির হোসেন।

Adhir Ranjan Chowdhury meets Kashmir victims' kin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 30, 2019 11:30 am
  • Updated:October 30, 2019 11:32 am  

শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বুধবার সকালেই কাশ্মীরের কুলগামে মৃত মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি। স্বজনহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন তাঁরা। কুলগাম কাণ্ডের নিন্দা করে সাগরদিঘি থেকেই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা। পাশপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরির আরজি জানালেন কংগ্রেস সাংসদ।

কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বহালনগর এলাকা থেকে জনা পনেরো শ্রমিকের একটি দল গিয়েছিল কুলগামে। মূলত আপেল বাগানে কাজ করতে যান এরা। কাতরাসু গ্রামেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা। সেই বাড়ি থেকে ওই শ্রমিকদের বের করে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। নিহত হয় ৪৫ বছরের রফিক শেখ, ৩৫ বছরের কামরুদ্দিন, মুরসালিম শেখ ৪৫ বছরের, নইমুদ্দিন শেখ ৪২ বছরের এবং রফিকুল শেখ ২৩ বছরের। এদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানা এলাকায় বোখরা-২ গ্রামপঞ্চায়েতের ব্রাহ্মণী গ্রামে। খবর গ্রামে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাসিন্দারা।

Advertisement

KHALILUR-RAHAMAN-IN-MSD

বুধবার সকালেই সাগরদিঘি গ্রামে পৌঁছন মন্ত্রী ও সাংসদেরা। গোটা গ্রাম ঘুরে দেখেন তাঁরা। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী, সাংসদরা। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে এসেছি। প্রশাসন সব সময় নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে।’ কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই দ্রুত বিমানে দেহ রাজ্যে পাঠানোর আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’ সেই সঙ্গে নিখোঁজদের পরিবারের জন্য একটি হেল্পলাইন চালু করার কথাও বলেন তিনি।

JAKIR-HOSSAIN-IN-MSD

এরপর সাগরদিঘি থেকে কুলগ্রামের ঘটনার প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করেছে মোদী সরকার। কিন্তু খেটে খাওয়া শ্রমিকের কাছে ৩৭০ ধারা অর্থহীন, তাঁদের প্রয়োজন রুটি-রুজি। আর সেই কারণেই কাশ্মীরে যাওয়া। সেখানে তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়।’ পাশপাশি,  তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন যেন সরকারের তরফে নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করা হয়। পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে যেন চাকরি দেওয়া হয়। 

[আরও পড়ুন: হাসপাতালে পুরুষ আয়ার বিকৃত যৌন লালসার শিকার যুবক, চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement