সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেলালেন তিনি মেলালেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অধীর চৌধুরী- বঙ্গ রাজনীতিতে যতই একে অপরের চির প্রতিপক্ষ হন না কেন কার্তিক মহরাজ ইস্য়ুতে দুজনের গলায় যেন একই সুর! প্রায় একইরকম চাঁচাছোলা ভাষায় বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজকে আক্রমণ শানিয়েছেন দুজনই। আবার মমতা-অধীরকে পালটা দিয়েছেন কার্তিক মহারাজও।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরীর(Adhir Chowdhury) তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “সাধুসন্তের যে রকম চরিত্র হওয়া প্রয়োজন, সেই চরিত্র তাঁর নেই। যাঁর কথা বলেছেন, তাঁর পরিচিতি নিয়ে এখানে বহু মানুষের প্রশ্ন রয়েছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দাবি, উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবেই এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত। কখনও তৃণমূলের, কখনও বিজেপির। উনি কখন কোন দলের সমর্থক, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে বলে দাবি অধীরের। একইসঙ্গে অধীরের পরামর্শ, অন্যকে ধর্মাচরণের উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে ধর্মপালন করুন। পালটা অধীরকেও বিঁধেছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ। বলেন, “আমি কোনও ডন নই, মস্তান বাহিনী পরিচালনা করি না। আমি হিন্দু সমাজের সন্ন্যাসী। হিন্দুরা কোথাও আক্রান্ত হলে আমি চুপ থাকতে পারি না।’’
অধীরের সুরই শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গলাতেও। বলেছিলেন,”আমার কাছে সব খবর থাকে। আপনি ধর্মের নামে এলাকায় বিজেপির প্রচার করেন। দলের কর্মীরা আমাকে বলেছেন যে বুথে এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না কার্তিক মহারাজ। আমাদের বাংলায় ভোটের সময়ে আমাদেরই বুথে বসতে দেবেন না, অশান্তি করবেন, তা হবে না। আগে এখানে অধীর চৌধুরী অশান্তি করত, এখন বিজেপি অশান্তি করে।”
উল্লেখ্য, বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা-অধীর চির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেঅ পরিচিত। লোকসভা ভোটের আবহে দেশজুড়ে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে। জোটের নামকরণ করেও বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ, অধীর চৌধুরীর মমতাবিরোধী কট্টর মনোভাবের জন্যই রাজ্যে জোট দানা বাঁধেনি। সভামঞ্চ থেকে দুজনই দুজনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। কিন্তু কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর ‘মিলে সুর হামারা’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.