নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অধীর চৌধুরি এবার বহরমপুরে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ালেই হারবে৷ শনিবার প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীরের অপসারণ প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ তবে, দেরিতে হলেও কংগ্রেস যে অধীরকে সরিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে তাও মনে করিয়ে দেন কেষ্ট৷ তাঁর মতে, ‘‘বাবা খুন হয়েছে, মা বিধবা হয়েছে চোখের সামনে৷ আমার তিরিশ বিঘার মধ্যে কুড়ি বিঘা জোড় করে সিপিএম বর্গা বসিয়ে দিল৷ আর অধীর বলছেন, সিপিএমকে ভোট দিতে৷ তাই কখনও হয় নাকি৷’’ তাঁর মতে, ‘‘অধীরকে আরও আগে তাঁর পদ থেকে সরালে দলটার ভাল হত৷ বাংলার ভাল হত৷’’
[ডিসেম্বরেই জিটিএ নির্বাচন চান আত্মবিশ্বাসী বিনয়, পালটা হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের]
প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন অধীর চৌধুরি তাঁর পাশের জেলা বীরভূমে প্রভাব খাটাবার চেষ্টা করেন। প্রকাশ্যে অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জ করেন। অধীর চৌধুরি বলেছিলেন, ‘‘পারলে দেহরক্ষী ছাড়া অনুব্রত কোনও এলাকায় গিয়ে দেখান তার কতটা ক্ষমতা আছে।’’ তার পালটা চ্যালেঞ্জে উত্তর দেন অনুব্রত মণ্ডল৷ শনিবার সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘কই বড়বড় কথা বলেছিল তো অধীর৷ বীরভূমে বড়বড় জনসভা করব৷ হ্যান করেঙ্গা, ত্যান করেঙ্গা। আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। কই একটা জনসভাও তো করতে পারেনি। আমি তো কই বাধা দিইনি। আসলে কোনও কালেই অধীরের পিছনে কোনও লোক নেই৷’’
[নিজের বাড়িতেই শিশুর রহস্যমৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা]
সোমেন মিত্রকে প্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ায় ফের তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোট প্রক্রিয়া কি সহজ হবে? অনুব্রতর দাবি, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সনিয়া গান্ধীর ব্যাপার। তাঁরা যা ভাল বুঝবেন তাই করবেন৷ তবে, অধীরের হাত থেকে কংগ্রেসের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ায় তাঁদের কংগ্রেস দলটা অন্তত বাঁচল বলেও অনুব্রত দাবি করেন৷
ছবি: বাসুদেব ঘোষ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.