ফাইল ছবি।
বাবুল হক, মালদহ: মালদহে নারী নিগ্রহের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। দুই মহিলাকে জুতো পেটা, বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় ‘ক্লোজ’ করা হল বামনগোলা থানার চারজন পুলিশ অফিসারকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বামনগোলা থানার IC জয়দেব মুখোপাধ্যায় ও পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির OC রাকেশ বিশ্বাস ও একজন SI, একজন ASI।
ঘটনার সূত্রপাত ১৮ জুলাই। মালদহের বামনগোলা থানা এলাকায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর ও জুতো পেটা করা হয়। ২৩ জুলাই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জেলা পুলিশ মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ভিডিওটির কিছু অংশ টুইট করে রাজ্যের তথা মালদহের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির কয়েকজন শীর্ষনেতা। জেলা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা মালদহের বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকার। এই ঘটনার পর সেদিন দুপুরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার বামনগোলায় ছুটে যান। দুপুরে বামনগোলায় পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব। সেদিন দুপুরেই মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে ওই দলের তরফে কয়েকশো কর্মী এই ঘটনার নিন্দা করে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। বিজেপির অভিযোগ, বামনগোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে পেটানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উলটে ওই দুই মহিলাকেই ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন পান তাঁরা।
জামিনে মুক্ত হওয়ার পর দুই নির্যাতিতা জানান, তাঁরা সম্পর্কে জা। একজন হাটে গিয়েছিলেন লেবু বেচতে আরেকজন শুঁটকি। কিন্তু ভাগ্যের জেরে চোর অপবাদ, গণধোলাই। কিন্তু কী চুরি গিয়েছে, তাই নাকি জানতেন না তাঁরা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুরু হয় তদন্ত। ৯ দিনের মাথায় ক্লোস করা হল বামনগোলা থানার IC জয়দেব মুখোপাধ্যায়-সহ ৪ পুলিশ অফিসারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.