বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: পারিবারিক অশান্তির জেরে অ্যাসিড হামলার শিকার এক গৃহবধু ও তাঁর সন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার ধানতলা থানার জাফর নগর এলাকায়। আক্রান্ত গৃহবধুর নাম সোমা দাস। বয়স ২৬ বছর। ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গেলেও পরে ওই মহিলার অভিযুক্ত স্বামী তপন দাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আহত অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধানতলা থানার জাফর নগরের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর তপন দাসের সঙ্গে ছয় বছর আগে বিয়ে হয় শান্তিপুরের বাসিন্দা সোমা দাসের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই প্রায়সই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত তপন। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতেও মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে সোমাকে আবার মারধর শুরু করে তপন। সোমা তার প্রতিরোধ করলে স্ত্রীকে ফের মারতে থাকে। চুলের মুঠি ধরে মারার সময় স্ত্রীর দুই হাতে অ্যাসিড ঢেলে দেয় স্বামী তপন। এতে সোমার দুই হাত পুড়ে যায়। আহত হয় তাদের এক সন্তানও। পরে দুই সন্তানকে নিয়ে আহত অবস্থাতেই বাড়ি থেকে কোনওক্রমে পালাতে সক্ষম হয় সোমা দেবী।
সোমা দাসের অভিযোগ, ‘আমার স্বামী রোজ মদ খেয়ে এসে আমাকে মারধর করে। মঙ্গলবার রাতেও মারধর করছিল। আমার চুলের মুঠি ধরে আমার মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমার কোলে ছিল সাড়ে তিন বছরের মেয়ে। আমি স্বামীকে হাত দিয়ে ঠেকাতে যাই। তখন আমার দুই হাতে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। মেয়ের পায়ে অ্যাসিড লাগে। এরপর ও বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। আমি এরপর দুই সন্তানকে নিয়ে ওই অবস্থায় বাড়ি থেকে ট্রেন ধরে সোজা শান্তিপুর বাপের বাড়ি চলে যাই। আজ সকালে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। আমার মা ধানতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমার হাত দুটো জ্বলে-পুড়ে যাচ্ছে। সইতে পারছি না। আমি চাই, আমার স্বামীর কঠোর শাস্তিই হোক।’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই ব্যাক্তি অ্যাসিড কোথায় পেল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.