ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: সামান্য দাম্পত্য অশান্তির জেরে সরকারি হাসপাতালের নার্সকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। খুনের ৭ দিন পর অবশেষে ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। বৃহস্পতিবার ভোরে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর সীমান্ত থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে মৃত নার্সের স্বামী জয়দেব বিশ্বাসকে। এদিনই তাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত জয়দেব বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীকে খুনের পর বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল জয়দেব। সে প্রথমে গিয়েছিল বিহারে। সেখান থেকে পালানোর সুযোগ ফসকে যাওয়ায় ব্যর্থ হওয়ায় সে মালদহের দিকে চলে যায়। সেখানেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি জয়দেব। অবশেষে সে চলে এসেছিল কৃষ্ণগঞ্জ থানার বিজয়পুর সীমান্তের কাছে। ওই এলাকার বেশ কিছুটা জায়গায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া নেই, রয়েছে নদ। কোনওরকমে নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে যেতে পারলেই পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যাবে বলে ভেবেছিল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত জয়দেব।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও বিফলে গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজয়পুর সীমান্ত থেকে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ হানা দিয়ে বিজয়পুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে জয়দেব বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পেশায় নার্স স্ত্রী স্বপ্না বিশ্বাসের মোবাইলে কথা বলা নিয়ে সন্দেহ ছিল জয়দেবের। সেই সন্দেহবাতিক প্রবণতা থেকেই নিজের স্ত্রীকে খুন করার পরিকল্পনা করে সে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণগঞ্জ থানার স্বর্ণখালীর শ্যামনগর গ্রামে স্বপ্নাকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে জয়দেব। প্রতিবেশীরা গুলির শব্দ পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বপ্না বিশ্বাসকে প্রথমে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। তবে বাঁচানো যায়নি নার্সকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পেশায় প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবসায়ী জয়দেব বিশ্বাস সেই সন্দেহপ্রবণতা থেকেই নিজের স্ত্রীকে গুলি করে খুন করেছেন । পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ”জয়দেব বিশ্বাস রিভলবার কোথা থেকে জোগাড় করেছিল, তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে।” পুলিশ এখনও পর্যন্ত সেই রিভলবারের সন্ধান পায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.