তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: নাবালিকা স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত নিথর দেহ উদ্ধারের ছ’ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্ষণে বাধা পেয়েই নাবালিকাকে খুন করেছিল অভিযুক্ত। প্রাথমিক জেরায় নিজের কুকীর্তি স্বীকার করেছে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত শিলিগুড়ি মহকুমার লেলিন কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ আব্বাস। সোমবার রাতেই বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, সোমবার সন্ধে নাগাদ মাটিগাড়া থানার অন্তর্গত মোটাজোত এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে এক নাবালিকা পড়ুয়ার নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে স্থানীয়দের বয়ান-সহ সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ভর করে অভিযুক্তর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ৬ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাশ থেকেই ইটের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাড়ি থাপড়াইল এলাকায়। স্কুল ছুটির পর হাঁটা পথেই ওই ফাঁকা জায়গায় পৌঁছেছিল নাবালিকা। তার সঙ্গে সাইকেলে চেপে ওই যুবক গল্প করতে-করতে ফাঁকা জায়গায় দিকে গিয়েছিল। পুলিশে অনুমান কোনওভাবে ঝোপ জঙ্গলে ভরা ঘরে নাবালিকাকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপরই তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। নাবালিকা বাধা দেওয়ায় রাগের মাথায় ঘরে পড়ে থাকা ইট দিয়ে নাবালিকার মাথা থেঁতলে দেয় অভিযুক্ত। ভয়ে এলাকা ছেড়ে দেয় সে।
এ প্রসঙ্গে ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা জানান, “ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে প্রাণে মারা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রাত একটা নাগাদ বাড়ি থেকেই মহম্মদ আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তের স্বার্থে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.