Advertisement
Advertisement
ঝাড়ফুঁক

ঝাড়ফুঁকে শিশুমৃত্যুতে গ্রেপ্তার ওঝা, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক

ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Accused arrested on saturday for maldah child death case
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 15, 2020 5:10 pm
  • Updated:February 15, 2020 5:10 pm  

বাবুল হক, মালদহ: মালদহে ঝাড়ফুঁকে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ওঝা আবদুল রফিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার দুপুর মালদহের কদমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবার রাতে? তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী অধিকারী। 

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। এদিন মালদহের গাজোলের কদমতলা গ্রামে একদল শিশু খেলা করছিল। বাড়ি ফিরে তারা অভিভাবকদের জানায়, শরীর খারাপ লাগছে। ওই শিশুদের ‘ভূতে ধরেছে’ এই সন্দেহ তাঁদের পরিজনেদের মনে দানা বাঁধে। এরপরই এক ওঝাকে খবর দেওয়া হয়। ওঝা অসুস্থ শিশুদের বাড়িতে আসেন। বন্ধ ঘরে ঢুকিয়ে রেখে চারজন শিশুকে ঝাড়ফুঁক করা শুরু হয়।  বিকেল পাঁচটা থেকে ন’টা পর্যন্ত তেল পড়া দেওয়ার পর অচৈতন্য হয়ে যায় খুদেরা। পরিজনেরা তাদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় এক শিশুর। এরপর একে একে তিনজন শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পর আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়। বাকি দু’জন এখনও মালদহ মেডিক্যালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের উত্তরবঙ্গের ট্রেন থেকে উদ্ধার বন্যপ্রাণী, ধৃত ভিনরাজ্যের পাচারকারী]

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। শনিবার বিএমওএইচ সব্যসাচী অধিকারীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্যরা।  প্রসঙ্গত, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল বিষাক্ত ফল খেয়ে ফেলার কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুদুটির। কিন্তু যে এলাকায় শিশুগুলি খেলছিল সেখানে বিষাক্ত ফল পাওয়া সম্ভব নয়, দাবি পরিবারের। এমনকী খেলতে যাওয়ার আগে মাছ-ভাত খেয়ে বেরিয়েছিল খুদেরা, জানিয়েছেন তাঁরা। তবে কী কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ল খুদেরা? কী থেকেই বা বিষক্রিয়া? এবিষয়ে এখনও কোনও তথ্যই পাননি তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: CAA বিরোধী আন্দোলনে গুলি করে খুন, জলঙ্গি কাণ্ডে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement