ছবি: প্রতীকী।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বীরভূমের (Birbhum) কীর্ণাহারে মহিলা খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহিলা। সেই সন্দেহের জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।
গতকাল অর্থাৎ সোমবার কীর্ণাহার থানার হরানন্দপুর গ্রামের এক মাঠের মধ্যে পড়েছিল মঞ্জু বাগদি নামে এক মহিলার দেহ। তাঁর গলায় শাড়ি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরই পুলিশের অনুমান ছিল, ঘটনার নেপথ্যে মৃতার প্রেমিকের হাত থাকতে পারে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিক কানিকুড়ো বাগদিকে। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় মৃতার। বড়ছেলে মঞ্জুদেবীর সঙ্গে থাকত। দেড় বছর আগে আত্মহত্যা করে সে। ছোট ছেলে থাকে বাবার কাছে। এদিকে বিচ্ছেদের পর থেকেই বাপের বাড়িতে থাকতেন মৃতা। বছর চারেক আগে বছর পঁচিশের আত্মীয় কানিকুড়োর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মঞ্জু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চল্লিশোর্ধ্ব মঞ্জুর সঙ্গে বছর ২৫-এর যুবকের প্রেম মানতে পারেনি পরিবার। সেই কারণে একাধিকবার বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে যুগল। কিন্তু ঘটনাচক্রে ফিরতে হয়েছে বাড়িতে। এরই মাঝে কানিকুড়ো জানতে পারে অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছে প্রেমিকা। তখনই প্রেমিকাকে নিয়ে দূরে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপরই এলাকার এক মাঠে দেখা করেন যুগল।
প্রেমিকাকে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় কানিকুড়ো। কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রেমিকা। তা নিয়ে শুরু হয় কথাকাটাকাটি। এরপর মাঠেই শারীরিক সম্পর্ক হয় দু’জনের। পুলিশের দাবি ধৃত জানিয়েছেন, সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেই প্রেমিকাকে খুন করে সে। মঙ্গলবার মৃতকে তোলা হয়েছে আদালতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.