শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: শনিবার সাতসকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। একটি বাস ও একটি ট্যাঙ্কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরও অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনিত হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।
শনিবার ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ ফারাক্কার এনটিপিসি মোড় এবং খয়রাকান্দির মধ্যবর্তী এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ভোরবেলা শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা দিকে আসছিল বাসটি। উলটো দিকে কলকাতা থেকে অসমের দিকে যাচ্ছিল ওই তেলের ট্যাঙ্কারটি। আচমকায় ট্যাঙ্কার ও বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন বাসের অধিকাংশ যাত্রীই ঘুমোচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় বাস ও ট্যাঙ্কারের চালকের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় আরও পাঁচ জনের। এরা ছাড়াও অন্তত ১২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহত বাসচালকের নাম সঞ্জয় সিনহা, বাড়ি বহরমপুর। ট্যাঙ্কার চালকের নাম সোনু কুমার, তাঁর বাড়ি বিহারের ছাপড়ায়। বাকি ৪ জন নিহতকেও সনাক্ত করা গিয়েছে। মৃতদের নাম কমলা বেওয়া, বাড়ি জঙ্গিপুর। রাশিকুল আনসারি ও আনিসুর রহমান, বাড়ি সাগরদিঘি। এবং অরূপ ঘোষ বাড়ি মুর্শিদাবাদের কান্দি।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্র স্থানীয়রা ছুটে আসনে যাত্রীদের উদ্ধার করতে। ঘটনাস্থলে যায় দমকল এবং পুলিশও। বাসের জানালা ভেঙে আহতদের উদ্ধার করা হয়। একইভাবে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহগুলিও। আহতদের জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পরও অবশ্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক। যানজটের কোনও খবর নেই। তবে, কীভাবে দুর্ঘটনা হল তা স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাস এবং ট্যাঙ্কার দুটোই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে চলছিল। যার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কার গাফিলতিতে দুর্ঘটনা, দুই চালকের মধ্যে কেউ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কিনা, সেসব জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.