ছবি: জয়ন্ত দাস।
ধীমান রায়,ভাতার: বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের পরপর ধাক্কা এক সাইকেল আরোহী, মোটরবাইক আরোহী ও দুই পথচারীকে। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল অ্যাম্বুল্যান্সটি। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগী, সাইকেল আরোহী ও এক পথচারীর। জখম আরও পাঁচজন। শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার নতুনগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে বর্ধমান সিউড়ি ২ বি জাতীয় সড়কে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে অনন্ত লেট নামে এক রোগীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরিজনেরা অ্যাম্বুল্যান্সে করে বর্ধমানে আনছিলেন তাঁকে। প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, অ্যাম্বুল্যান্সের গতি ছিল প্রচণ্ড। নতুনগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে অ্যম্বুল্যান্সটি প্রথমে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাইকে ধাক্কা দেয়। বাইকে ছিলেন দু’জন। বাইকে ধাক্কা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিয়ে পিষে দেয়। তারপরই রাস্তার একপাশে থাকা দুই পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি রাস্তার ধারে উলটে যায়।
অ্যম্বুল্যান্সে থাকা রোগীর পরিজন,জখম বাইক আরোহী, পথচারী এবং সাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদের নাম অনন্ত লেট(৭০), সাইকেল আরোহী তাপস ঘোষ(২৬) এবং বাইক আরোহী আব্দুল রহিম(৩০)। এদিকে এই দুর্ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে যায় ওড়গ্রাম ও গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনবহুল এলাকা হলেও জাতীয় সড়ক দিয়ে বেপরোয়াভাবে গাড়িগুলি বিশেষ করে অ্যম্বুল্যান্সগুলি চলাচল করে। যার ফলেই এমন দুর্ঘটনা। এর আগেও একাধিকবার এই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে যানবাহনের বেপরোয়া গতির ফলে। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় সড়কপথের উপর স্পিডব্রেকার করা হোক। পুলিশ স্থানীয়দের আশ্বাস দিলে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। পুলিশ ঘাতক অ্যম্বুল্যান্সটি আটক করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.