সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: হাতে আর একদিন। শনিবার ডায়মন্ড হারবার আসনে নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার শেষ প্রচার সারলেন বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সেলিম-শুভেন্দু-অধীরকে এক হাত নিলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, কেন তাঁরা ডায়মন্ড হারবার আসন থেকে লড়লেন না।
কথা ছিল ২৯ মে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ফলতা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রোড শো করবেন। কিন্তু রেমালের জেরে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়। আজ, বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ দিনে সকালে ফলতার জোড়া বটতলা থেকে নতুন রাস্তার মোড় পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য রোড শো করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রোড শোতে অগণিত মানুষের ঢল দেখে বেশ কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিষেক। বলেন, “এটা তো দেখছি নির্বাচনী সমাবেশ নয়, বিজয় সমাবেশ। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে ফলতা বিধানসভা থেকে মানুষ আমাকে ৪৩ হাজার ভোটে জিতিয়েছিলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ফলতায় চল্লিশ হাজার সাতশো ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল। এবার ভোটে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে চার লক্ষ ভোটে আমাকে জেতাতে হবে। আর ফলতা থেকে আমার জয়ের ব্যবধান কিন্তু এক লক্ষের বেশি ভোটে হওয়া চাই।”
এদিন অভিষেক রোডশো শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি ও সিপিএমকে তুলোধোনা করেন। বলেন, “বাংলায় কেন সাত দফায় ভোট করেছে জানেন? দেশের সব জায়গায় এক দফায় ভোট করে বিজেপির পরিযায়ী নেতারা স্নো-পাউডার মেখে বাংলায় আসবে বলে। সারাবছর যাদের দেখা যায় না, ভোটের সময় তারা আসে। আবার চলেও যায়। সারা বছর মানুষের দুঃখে বিপদে আমরা পাশে থাকি। যেমন সম্প্রতি রেমালের সময় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আমাদের কর্মীরা বিপদগ্রস্ত মানুষজনকে ত্রাণশিবিরে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি নিজে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি।” এর পরই মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারীদের নিশানা করেন তিনি। বলেন, “মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী দাঁড়ালেন না কেন আমার বিরুদ্ধে? দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অধীর চৌধুরীরা দাঁড়ালেন না কেন ডায়মন্ড হারবারে? কারণ এরা জানে ডায়মন্ড হারবারের মাটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি।”
অভিষেক বলেন, “গত ২৯ তারিখ ফলতায় আমার এই রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ছিল। কিন্তু রেমালের জন্য আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই কর্মসূচি বাতিল করতে হয়। পরিবর্তে আজ প্রচারের শেষদিনে শেষ পেরেকটা বিজেপির কফিনে পুঁতব বলে ফলতায় এসেছি।” তাঁর দাবি, “কেউ আটকাতে পারবে না। কেন্দ্রে এবার পরিবর্তন হচ্ছেই। অত্যাচারী, স্বৈরাচারী বিজেপির বিসর্জন শুধু সময়ের অপেক্ষা।” এদিন দুপুরের পর মহেশতলার বাটা মোড় থেকে ডাকঘর পর্যন্ত অভিষেক শেষ নির্বাচনী প্রচারে আরও একটি রোড শোয়ে অংশ নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.