সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার খানাকুলে মৃত তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্রের বাড়ি গেলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। মৃতের বাড়িতে দাঁড়িয়েই আশ্বাস দিলেন, অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। রেয়াত করা হবে না একজনকেও।
রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ আরামবাগের খানাকুলে মৃত তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন পাত্রের বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায় সাংসদকে। তিনি বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপির জল্লাদ। নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে রাজ্যে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।” প্রকাশ্যে তিনি বলেন, “চাইলে আমরাও রক্তের বদলা রক্ত ঝরাতে পারি, প্রাণের বদলে প্রাণ কাড়তে পারি। এক মুহূর্তও সময় লাগবে না, কিন্তু আমরা তা করি না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি আমাদের শান্ত থাকতে শিখিয়েছেন।” মৃতের বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনি আশ্বাস দেন, “কোনও অপরাধী ছাড় পাবে না।” মোদিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, দিল্লির কোনও বাবারাও অপরাধীদের বাঁচাতে পারবে না। প্রয়োজনে ১০ দিন পর ফের ওই এলাকায় যাবেন। তবে কোনওভাবেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে এই অন্যায় বরদাস্ত করবেন না এমনটাই জানান তিনি। পাশাপাশি, দলের কর্মীদের আরও সংযত হতে বলেন।
প্রসঙ্গত, হুগলির আরামবাগের হরিশচকের বাসিন্দা মনোরঞ্জন পাত্র৷ খানাকুল ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও ছিলেন তিনি৷ প্রতিদিন বিকেলের পর খেত ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েই বসে থাকতেন মনোরঞ্জন৷ কিন্তু শনিবার বের হওয়ার পর রাত বাড়তে থাকলেও বাড়ি ফেরেননি ওই তৃণমূল নেতা৷ পরিজনেরা খোঁজখবর শুরু করেন৷ খেত, দলীয় কার্যালয় কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি তাঁকে৷ মনোরঞ্জনের পরিজন-প্রতিবেশীরা গোটা এলাকাজুড়েই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন৷ বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর দলীয় কার্যালয়ের পাশ থেকেই উদ্ধার হয় ওই তৃণমূল নেতার দেহ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে এলাকাতেই প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল মনোরঞ্জন পাত্রকে৷ তবে তাতে আমল দেননি একনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ৪ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.