স্টাফ রিপোর্টার: শুধু বিপুল জয় নয়, এই ভোটে নতুন সেনাপতি, নতুন নেতা পেল তৃণমূল৷ যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যিনি ছুটে গিয়েছেন একের পর এক জনসভায়৷ মার্জিত, যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যে বলা যায় তৃণমূল কংগ্রেস পেয়ে গিয়েছে তার পরবর্তী প্রজন্মকে৷
সব মিলিয়ে ১৪০টি জনসভা করেছেন অভিষেক৷ ভোটপর্বের প্রচারের শুরুতে যদিও সেই হিসাব ছিল না৷ কিন্তু প্রতিনিয়ত মানুষের সমর্থন, তৃণমূল সরকারের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা, সব মিলিয়ে মানুষের আরও কাছে যাওয়ার কথা ভাবেন অভিষেক৷ সেই অনুযায়ীই বাড়তে থাকে তাঁর জনসভার সংখ্যাও৷ শুরু হল মমতার দেখানো পথেই অভিষেকের ম্যারাথন সভা৷
তবে যেখানে মমতার সভা হয়েছে, সেখানে যাননি অভিষেক৷ মমতা যখন দক্ষিণবঙ্গে, সে সময় অভিষেককে ছুটে বেড়াতে দেখা গিয়েছে উত্তরে৷ শুধু ছুটে বেড়ানোই নয়, দলে স্থানীয়ভাবে কোথায় সমস্যা, কীসের অভাব, মন দিয়ে বুঝে একেবারে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে মিশে বুঝে নিয়েছেন সে কথা৷ দিনে দিনে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস৷ যে আত্মবিশ্বাস দেখা গেল বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর৷ একেবারে নেত্রীর ঢঙেই বললেন, “এ জয় মানুষের জয়৷ গণতন্ত্রের জয়৷”
ঠিক তাই৷ মমতা যে ঢঙে মানুষের মন বুঝে রাজ্যজুড়ে ছুটে চলেন, সেভাবেই দ্রুত পায়ে মানুষের মন বোঝার কাজ সেরে নিচ্ছেন অভিষেক৷ উন্নয়নের প্রশ্নেই শুধু নয়, বিরোধীদের যখন বিঁধছেন অভিষেক, তাতেও যুক্তির কোনও খামতি নেই৷ মানুষ মুগ্ধ হয়ে শুনেছেন তাঁর কথা৷ শুনেছেন দলের নতুন সারথির একেবারে ‘টু দ্য পয়েন্ট’ বক্তব্য৷ বুঝেওছেন, দল সত্যিই নতুন সারথি পেয়ে গিয়েছে৷ শুধু বাংলার মানুষই নন, দলীয় নেতৃত্বও যাঁর কাধে ভর করা শুরু করেছে৷ বেশিরভাগ জনসভায় যেখানে দলীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক যাচ্ছেন, ভরসা করে কিন্তু অভিষেককেই এগিয়ে দিচ্ছেন দলীয় নেতারা৷ বক্তব্য শুনতে চাইছেন তাঁরাও৷ শুনছেন৷ মুগ্ধ হচ্ছেন৷ বাড়ছে আশ্বাস৷ নতুন ভোরে মিলেছে নতুন সারথির সন্ধান৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.