Advertisement
Advertisement

Breaking News

Abhishek Banerjee

চ্যালেঞ্জের ৯৬ ঘণ্টা পার, ‘BJP ১০ পয়সারও হিসাব দিলে রাজনীতি করব না’, হুঙ্কার অভিষেকের

একুশের ভোটের পর থেকে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বাংলার জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে? সেই হিসেবনিকাশ দিতে বিজেপিকে পছন্দমতো কোনও সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চ্যালেঞ্জের ৯৬ ঘণ্টা পার।

Abhishek Banerjee challenges Sukanta Majumdar on central dues

(বাঁদিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং (ডানদিকে) সুকান্ত মজুমদার

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 18, 2024 4:29 pm
  • Updated:March 18, 2024 6:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের ভোটের পর থেকে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বাংলার জন্য কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে? সেই হিসেবনিকেশ দিতে বিজেপিকে পছন্দমতো কোনও সংবাদমাধ্যমে তাঁর মুখোমুখি তর্কে বসার চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চ্যালেঞ্জের পর ৯৬ ঘণ্টা পার। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে হিসাব দেননি বিজেপির কেউ। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের সভামঞ্চ থেকে এবার সরাসরি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক। ১০ পয়সার হিসাব দিলে রাজনীতি করবেন না বলেই দাবি তাঁর।

লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে চাপে ফেলতে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকেই হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির টাউন ক্লাবের মাঠে নির্বাচনী সভার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় X হ্যান্ডেলে বিজেপিকে এই ইস্যুতে একহাত নেন। দাবি করেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পে এক পয়সাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আর্থিক বরাদ্দ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান অভিষেক। এমনকী ‘ওয়ান টু ওয়ান’ তর্ক যুদ্ধে হিসাব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূল নেতা। ওইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে রাজ্য বিজেপি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আইফোন অর্ডার করে হেনস্তার শিকার! ক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে Flipkart]

X হ্যান্ডেলে একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করে গেরুয়া শিবির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তর্কযুদ্ধে বসার জন্য সুবিধামতো স্থান ও সময় জানানোর কথা বলা হয়। বিজেপি যুব মোর্চার কোনও এক কর্মী বিতর্কে যোগ দেবেন বলেই উল্লেখ করা হয়। ওই বিজ্ঞাপন-সহ বিজেপির পোস্টটি রিপোস্ট করেন অভিষেক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়নাগুড়ির টাউন ক্লাবের মাঠে দেখা করার কথা বলেন তিনি। তবে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের পরেও ময়নাগুড়ির সভায় বিজেপি প্রতিনিধি আসেননি। তার পর থেকে কেটে গিয়েছে ৯৬ ঘণ্টা। তা সত্ত্বেও অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি গেরুয়া শিবিরের কেউ।

সোমবার গঙ্গারামপুরের নির্বাচনী প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে সরাসরি সুকান্ত মজুমদারকে বিঁধলেন অভিষেক। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান। তর্কযুদ্ধে বসার দাবিও করেন অভিষেক। বিজেপি হিসেবনিকেশ দিতে পারলে ‘রাজনীতির আঙিনায় আর পা রাখবেন না’ বলেও চ্যালেঞ্জ করেন। বলে রাখা ভালো, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি গতবার হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। ভোটে জেতে বিজেপির সুকান্ত মজুমদার।

ভোট পাওয়ার পরেও সুকান্ত কোনও কাজ করেননি অথচ কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ তিনিই বন্ধ করেছেন বলেই বিস্ফোরক দাবি অভিষেকের। তিনি বলেন, “যাঁকে ভোট দিয়ে জেতালেন, তিনি বলছেন বাংলার টাকা আটকে রাখো। তাঁকে কি ভোট দেবেন? এই কেন্দ্রের সাংসদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, আমি একটা ফোন করব আর টাকা চলে আসবে। তা হলে বুঝতে পারছেন, আপনাদের টাকা কে আটকে রেখেছে?” যদিও অভিষেকের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “উনি কিছু মানুষকে নিয়ে এসে ময়দানে সভা করছেন। গ্রামের মধ্যে গিয়ে আবাস যোজনা নিয়ে খোঁজ নিন। দেখবেন বিক্ষোভের মুখে পড়বেন। চ্যালেঞ্জ করার জন্য তো নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে। সামনেই নির্বাচন এত উত্তেজিত হবেন না ।” গেরুয়া শিবির অভিষেকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন কি না, সেটাই এখন দেখার।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে ভোট প্রচারে অনুমতি নয়! ‘খলিস্তানি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে কমিশনে চিঠি শিখ সংগঠনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement