রঞ্জন মহাপাত্র ও সুরজিৎ দেব: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, আগে পূর্ব মেদিনীপুর, হলদিয়া থেকে তোলাবাজি করতেন শুভেন্দু। আর এখন সিবিআই-ইডি-এনআইএর জামিন করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলেন। যদিও রাজনৈতিক চরম প্রতিদ্বন্দ্বীর অভিযোগের জবাব দিতে চাননি শুভেন্দু। বরং তাঁর পালটা কটাক্ষ, ওই নাবালকের কথার কী উত্তর দেব!
শনিবার কাঁথির অধিকারী গড়ে সভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। প্রত্যাশামতোই সভামঞ্চ থেকে অধিকাংশ আক্রমণের নিশানায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবার। অভিষেকের কথায়, “দুর্নীতির অভিযোগগুলি যদি অক্টোপাসের শুঁড় হয় তাহলে মাথাটা বসে আছে শান্তিকুঞ্জে। আমরা অক্টোপাসের মাথাটাকে সরিয়ে দিয়েছি, শুঁড়গুলোও নেই আর।” একথা বলতে গিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরের একের পর এক দুর্নীতি অভিযোগ তুলে আনেন তিনি। আর সবক’টি দুর্নীতির মাথা বিরোধী দলনেতা বলেই দাবি অভিষেকের। এরপরই তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, “আগে হলদিয়া থেকে তোলাবাজি করত শুভেন্দু। এখন তো ওসব বন্ধ করে দিয়ছি। এখন কোথা থেকে তোলাবাজি করে জানেন? সিবিআই-ইডি-এনআইয়ের জামিন করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলেন।”
শনিবার ছিল বাংলার রাজনৈতিক ডার্বি। একদিকে যেমন শুভেন্দুর বাড়ি কাছে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে তৃণমূল সাধারণ সম্পাদকের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবারে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথিক কলেজ মাঠে যখন শুভেন্দুকে তোলাবাজ বলে আক্রমণ শানাচ্ছেন অভিষেক, ঠিক তখন তাঁর সংসদ এলাকায় দাঁড়িয়েই পালটা তৃণমূল সাংসদরকে সর্বভুক বলে কটাক্ষ শানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। বলেছেন, “এখানকার সাংসদ সর্বভূক। কয়লা, বালি, মদের বোতল, স্কুল ইউনিফর্মের টাকা, চাকরি – সব খান।”
এখানেই অবশ্য শেষ নয়। সভা শেষে সাংবাদিক সম্মেলন থেকেও অভিষেককে নিশানা করেন শুভেন্দু। বলেন, “ওকে রাজনীতিতে যে পরিচয় দিয়েছে, যার পরিচয়ে ও সভা করছে, পুলিশ নিয়ে ঘুরছে, ওর সেই মালিককে আমি হারিয়েছি। ওতো উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছে। এমবিএ-র ভুয়ো ডিগ্রি। অর্ধশিক্ষিত।” পালটা অবশ্য অভিষেকের কটাক্ষ, “উনি তো ফুটেজ খেতে আমার নাম ব্যবহার করেন। দিল্লিতে নম্বর বাড়াতেও আনার নাম ব্য়বহার করেন। যান আমার নাম ধার দিলাম ওঁকে। আমার নাম যতবার নেবে তত অক্সিজেন পাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.