ফাইল ছবি
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নিউটাউনের বালিগড়িতে আব্বাস সিদ্দিকির (Abbas Siddiqui) সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রধানের দাবি, মুসলিম হওয়ার কারণেই এই বাধা। তবে এসবকে পরোয়া না করে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাবেন বলেই সুর চড়ান তিনি।
রবিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিউটাউনের বালিগড়িতে একটি সভা করার কথা ছিল পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। সেই সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আব্বাসের অনুগামীরা নিউটাউন ভাঙড় সংযোগকারী হাতিশালা ৬ নম্বর লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিউটাউন। সভায় বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন আব্বাস সিদ্দিকি। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রধান তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা বলেন, “আমি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের হয়ে লড়ছি। আর আমি একজন মুসলিম এই কারণে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “এই তৃণমূল সরকার চিটিংবাজ, ধোঁকাবাজ সরকার, কাটমানির সরকার, এরা সন্ত্রাসবাদী।”
এদিন গুরুং প্রসঙ্গে মুখ খোলেন আব্বাস। তৃণমূলকে বিঁধে বলেন, “বিমল গুরুং একটা খুনি। সে পুলিশকে খুন করেছে। তাকে সঙ্গে নিয়েছে। দশ বারোটা আসন দিচ্ছে। আর আমাদের ৪৪টি আসন দিল না। যেখানে আমরা ১৫০টি আসনে ক্ষমতায় আসতে পারি। এই তৃণমূল সরকার মুসলিম-আদিবাসীদের দুশমন।” এদিন নিউটাউনের পর ভাঙড়ের ভোজেরহাটে জনসভা করেন আব্বাস। ভরা জনসভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে নিশানা করার পাশাপাশি অনুগামীদের ভোটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমরা ভিক্ষা নয়, অধিকার চাই। খেলা নয়, সন্ত্রাস মুক্ত বাংলা চাই। তাই আইএসএফকে জেতাতে হবে।” পাশাপাশি তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “যে ভোট লুট করতে আসবে তার ছাল আমরা গুটিয়ে নেব।” অপরদিকে ক্যানিংয়ের নেতড়া বাজারে মহিলাদের জনসভা থেকে আব্বাসকে ‘কুঁজো’ বলে কটাক্ষ করেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা। তিনি বলেন, “আব্বাসের কত ক্ষমতা ক্যানিং পূর্বে এসে ভোটে লড়ুক। ভিখারির মতো হাত পেতে এলাকা থেকে টাকা নেয় সে আবার বড় বড় কথা বলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.