রাজা দাস, বালুরঘাট: দীর্ঘদিনের প্রণয়ের সম্পর্কের পর পেশায় রাজমিস্ত্রি প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন বালুরঘাটের তরুণী। স্বামীর সহযোগিতা আর ভাগ্যের ফেরে পরবর্তীতে সরকারি চাকরি পান তিনি। এতেই সমস্যার শুরু। নার্স হয়ে রাজমিস্ত্রীকে কিছুতেই স্বামী হিসেবে মানতে পারছেন না! তাই সাফ জানিয়েছেন সম্পর্কচ্ছেদের কথা। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন বালুরঘাটের (Balurghat) যুবক।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের অমৃতখণ্ডের বাসিন্দা অরূপ বর্মন। এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তাঁর। কয়েকবছর আগে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে ওই যুগল। শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। তাই অরূপ নিজেই স্ত্রীকে প্রতিষ্ঠিত করতে উঠেপড়ে লাগে। পাশে দাঁড়ান অরূপের বাবা। পেশায় রাজমিস্ত্রী স্বামী ও শ্বশুরের সাহায্যে লেখাপড়া চালিয়ে যান তরুণী। নার্সিং ট্রেনিংও করেন। এরপর চলতি বছরে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চাকরি পান ওই বধূ। অভিযোগ, এই চাকরিই অরূপের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়। হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে ওই তরুণী। এক পর্যায়ে তিনি অরূপকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তাঁর পক্ষে এই সম্পর্ক রাখা সম্ভব নয়। স্ত্রীকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি।
এরপরই বুধবার রাতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন অরূপ। রাত পেরলেও মন গলেনি স্ত্রীর। তাই এখনও একই জায়গায় বসে ওই যুবক। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গেলে তাঁদের যুবক বলেন, “ও সব জেনে আমাকে ভালবেসেছিল। আজ চাকরি পেয়ে পালটে গেল। আমি শুধু ওকে ফিরে পেতে চাই। আপনারা সাহায্য করুন।” স্ত্রীকে না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন ওই যুবক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.