ছবি: প্রতীকী।
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ছ’ বছরের প্রেম। মাঝপথে হাত ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন প্রেমিকা। তাঁকে ফিরে পেতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ধরনায় বসেছিলেন প্রেমিক সঞ্জিত। অবশেষে গলল বরফ। যুবকের জেদের মুখে নতিস্বীকার করলেন প্রেমিকার বাবা। সোমবার রাতে বৃষ্টির মাঝেই সাত পাকে বাঁধা পড়ল ধুপগুড়ির (Dhupguri) যুগল।
জানা গিয়েছে, যুবকের নাম সঞ্জিত রায়। জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির বাসিন্দা তিনি। এলাকারই বাসিন্দা লক্ষ্মীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল তাঁর। মাঝখানে দূরত্ব তৈরি হয় যুগলের মধ্যে। আর এরইমধ্যে লক্ষ্মীর অন্যত্র বিয়ে দেবে বলে ঠিক করে পরিবার। শুরু হয় দেখা শোনা। এই খবর পেতে দেরি হয়নি প্রেমিক সঞ্জিতের। এরপরই প্রেমিকাকে ফিরে পেতে নাছোড়বান্দা হয়ে পড়েন সঞ্জিত। তখনই প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনার সিদ্ধান্ত নেন যুবক। যদিও তার আগে একাধিকবার প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সঞ্জিত। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি।
সোমবার সকালে প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন সঞ্জিত। খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁকে দেখতে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা। অনেকে তাঁকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সঞ্জিত সাফ জানিয়েছিলেন, প্রেমিকাকে ছাড়া ফিরবেন না তিনি। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সেখানেই বসেছিলেন সঞ্জিত। অবশেষে তাঁর জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় লক্ষ্মীর বাবা। সোমবার রাতে পরিবারের সম্মতিতেই প্রেমিকার গলায় মালা দিলেন সঞ্জিত।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে প্রেমের স্বীকৃতি পেতে ধরনাকে হাতিয়ার করেছিলেন জলপাইগুড়ির যুবক অনন্ত বর্মন। জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে হারানো প্রেম ফিরে পেতে ধরনায় বসেছেন বেশ কয়েকজন প্রেমিক-প্রেমিকা। কেউ সুবিচার পেয়েছেন, তো কাউকে রীতিমতো মারধর খেতে হয়েছে। তবে অনন্তের পথে হেঁটে হারানো প্রেম ফিরে পেলেন সঞ্জিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.