ছবি: প্রতীম মৈত্র
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: খেলা চলাকালীন দর্শকাসনে থাকা এক যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ঝড়গ্রামের (Jhargram) বাছুরডোবা। ঘটনার পরই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আগুন ধরিয়ে দেয়। দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। এদিন বাছুরডোবা এলাকায় একটি টুর্নামেন্ট হচ্ছিল। নিরাপত্তার কারণে সেখানে পুলিশও ছিল। খেলা দেখতে গিয়েছিলেন রাধানগরের বাসিন্দা শেখ তদবীর আলি। অভিযোগ, খেলা চলাকালীন এদিন হঠাৎই বাছুরডোবা এলাকার বাসিন্দা এনভিএফ কর্মী বিশ্বজিৎ প্রধান শেখ তদবীরকে তাড়া করে। তাঁকে লক্ষ্য করে দুটো গুলি ছোঁড়ে। একটি গুলি লাগে তদবীরের পায়ে। অপরটি মাথার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর ভোজালি দিয়ে এলোপাথাড়ি তদবীরকে কোপায় বিশ্বজিৎ। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে এরপর কলকাতায় স্থানান্তরিত করার সময় পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তদবীর।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাছুরডোবা এলাকা। অভিযুক্ত বিশ্বজিতের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকল। পুলিশ পৌঁছতেই অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান এলাকার বাসিন্দারা। গ্রেপ্তারের দাবিতে বাছুরডোবা শালতলা সংলগ্ন এলাকার সেবায়তন ভায়া ধেড়ুয়া-মেদিনীপুর রাস্তায় চলে অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ পর কিছুটা হলেও আয়ত্তে আসে পরিস্থিত। এলাকায় এখনও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু কেন এই খুন? অনুমান, পুরনো বিবাদের জেরেই প্রাণ গেল তদবীরের। যদিও এবিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.