ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণসংস্থা থেকে সাপ্তাহিক কিস্তির ভিত্তিতে বেশ কিছু টাকা ধার নিয়েছিলেন নিমতার (Nimta) এক যুবক। কিন্তু লকডাউনে (Lockdown) কাজ চলে যাওয়ায় কিস্তির টাকা দিতে পারছিলেন না তিনি। ওদিকে সংস্থার তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ওই যুবক।
নিমতার ফতুল্লাপুর বাসিন্দা ওই যুবকের নাম প্রবীর মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে একটি সংস্থার থেকে ৩০ হাজার টাকা লোন নেন ওই যুবক। প্রতি সপ্তাহে কিস্তিতে টাকা দিয়ে লোন শোধ করতেন তিনি। সব কিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু লকডাউনেই ছন্দপতন হয়। কাজ চলে যাওয়ায় পেট ভরানোই দায় হয়ে দাঁড়ায় প্রবীরবাবুর কাছে। তাই কিস্তি পরিশোধ কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে তাঁর পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করে ওই ঋণপ্রদানকারী সংস্থা। টাকার জন্য কার্যত অপমানও করা হয়। এরপরই উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, লকডাউনের কারণে টাকা দিতে না পারায় সংস্থার তরফে চরম দুর্ব্যবহার করা হয়েছিল প্রবীরের সঙ্গে যা সে মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে যুবকের পরিবার, পরিজন ও প্রতিবেশীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.