ফাইল ফটো
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আমেরিকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজেই হোম কোয়ারান্টাইনে চলে গেলেন এক যুবক। গত দু’দিন ধরে বাড়ির একটি ঘরে নিজেকে বন্দি রেখেছেন তিনি। সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ যেন তাঁর কাছে না যান। নদিয়ার চাকদহের শিমুরালির দায়িত্ববোধে মুগ্ধ প্রতিবেশীরা।
শনিবার ভোরে শিমুরালির বাড়িতে ফিরেছেন আমেরিকার একটি বেসরকারি হোটেলে কর্মরত ওই যুবক। বাড়ি ঢুকেই হোম কোয়ারান্টাইনে চলে গিয়েছেন তিনি। ততক্ষণে তাঁর ফেরার খবর পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি চাকদহ ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ হালদার তাঁর পুরো টিমকে নিয়ে চলে আসেন আমেরিকা ফেরত ওই যুবকের বাড়িতে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই যুবক দরজা না খুলে জানালা দিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। জানা গিয়েছে, ওই যুবক ১৮ মার্চ দমদম বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজারহাটে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই যুবককে কিছুক্ষণের জন্য কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। করা হয় স্বাস্থ্যপরীক্ষাও। এরপর ওই যুবককে বাড়িতে ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মেনে ওই যুবক বাড়িতে ফিরেই নিজেকে একটি ঘরে বন্দি করে ফেলেছেন।
ডা: হালদার জানিয়েছেন, “আমেরিকা ফেরত ওই যুবকের বাড়িতে আমি নিজে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত সচেতন। বিমানবন্দর থেকে নেমেই তিনি রাজারহাটের কোয়ারান্টাইন সেন্টারে গিয়েছিলেন। সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করিয়েছেন। ওই যুবক সরকারি সমস্ত নির্দেশ মেনে চলছেন। এলাকার মানুষকে বলা হয়েছে, অযথা ভয় পাবেন না।” ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে ওই এলাকার মানুষের আতঙ্ক অনেকটাই দূর হয়েছে। তাঁরা নজরে রাখছেন বিষয়টি। তাঁদের একটাই বক্তব্য, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরুন। কিন্তু সরকারি নির্দেশনামা তাঁরা সবাই মেনে চলুন। করোনা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই সচেতন হয়েছেন ওই এলাকার মহিলারাও। তাঁরা যথাসাধ্য খেয়াল রাখছেন, কারা গ্রামে ফিরছেন বাইরে থেকে। ফেরার আগেই জানিয়ে দিচ্ছেন প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.