অরূপ বসাক, মালবাজার: এ যেন এক রূপকথার গল্প। সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে মালবাজারের বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়া পাড়ি দিচ্ছেন প্যারিসে। ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত বাবা, মা, স্ত্রী-সহ পরিবারের সকলে।
শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমিত সাহা। ডুয়ার্সের চা বলয়ের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় মাল আদর্শ বিদ্যাভবনের ছিলেন তিনি।বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর শিলিগুড়িতে বিটেক করেন তিনি। এর পর পড়াশোনা কলকাতার রাজাবাজার সাইন্স কলেজে। সেখান থেকেই এমটেক এবং পিএইচডি করেন। কম্পিউটার সায়েন্সের পড়ুয়া অমিত কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়েই গবেষণা করেছেন। ২০২২ সালে অমিত তাঁর পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন ‘অটোমেটেড সার্কিট সিন্থেসিস অ্যান্ড লাইব্রেরি ডেভেলপমেন্ট ফর জেনারালাইজ কোয়ান্টাম সার্চ প্রবলেমস’-এ।
জানা গিয়েছে, গবেষণা চলাকালীন অমিত ভারত সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফেলোশিপ কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের অধীনে কাজ করার সুযোগও পান। অমিতের গবেষণাপত্র ইতিমধ্যেই বারোটি আন্তর্জাতিক জার্নালে জায়গা পেয়েছে। বিশ্বের তাবড় কম্পিউটার সায়েন্টিস্টদের কাছে প্রশংসা পেয়েছে। আর সেখান থেকেই এবারে ফ্রান্সের সরকারি গবেষণা কেন্দ্রে কাজ করার সুযোগ মিলেছে। দুদিনের জন্য মাল বাজার শহরে এসে অমিত জানিয়েছে, কোয়ান্টাম অ্যালগরিদম এবং কোয়ান্টাম সার্কিটকে আরও বেশি উন্নত স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তার পরবর্তী রিসার্চ সংক্রান্ত কাজ জারি থাকবে। বর্তমানে কলকাতায় অমিত। সেখান থেকে পুণের কিছু কাজ মিটিয়ে পাড়ি দেবেন প্যারিসে।
প্রসঙ্গত, অমিতের বাবা অলক সাহা পেশায় ব্যবসায়ী, মা মনিকা সাহা গৃহবধূ। বাংলা মাধ্যমের ছাত্র অমিত ছোটবেলা থেকেই গবেষণার স্বপ্ন দেখতেন। কম্পিউটার ছিল তাঁর প্যাশন। মা-বাবার পাশাপাশি স্ত্রী সোমবল্লী ঘোষাল সাহা পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন অমিতকে। অমিতের সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়েও উড়ে যাবেন ভিনদেশে। তবে পুনরায় নিজের শহরেই ফিরবেন বলে জানিয়েছেন অমিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.