ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: মেসোশ্বশুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মহিলা। তা জানাজানি হওয়ায় প্রবল অশান্তিও হয়। প্রেমিকের সঙ্গে করা শর্ট ভিডিও ভাইরাল হতেই বধূকে তালাক দিলেন স্বামী! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির গাদা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটপাড়ার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম। বছর ২৫ আগে মরিফা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল সংসার। ওই দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। কয়েকবছর আগে রবিউল ও মরিফার সম্পর্কে ভাঙন ধরে। তাঁদের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। অভিযোগ, সম্পর্কে মেসোশ্বশুর সাহানাতুল্লাহের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মরিফা। স্থানীয়দের দাবি, সাহানাতুল্লা তৃণমূল নেতা। এদিকে পরকীয়ার কারণে স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মরিফার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে।
তবে বেশিদিন মরিফা ও সাহানাতুল্লার এই সম্পর্ক আড়ালে থাকেনি। মরিফার স্বামী ও সাহানাতুল্লাহের স্ত্রী এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যায়। যার ফলে তীব্র অশান্তি শুরু হয় দুই পরিবারে। একাধিকবার স্ত্রীকে ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেন রবিউল। পরে সমস্যা সমাধানে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সাময়িকভাবে সমস্যা মিটেও যায়। এর কিছুদিন পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মরিফা ও সাহানাতুল্লাহের একটি শর্ট ভিডিও। একটি গাড়িতে তোলা হয়েছিল সেটি।
সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। মরিফার সঙ্গে রবিউলের তীব্র ঝামেলা হয়। এরপরই বিশিষ্টজনদের সামনে স্ত্রীকে তালাক দেন রবিউল। তাঁর কথায়, রবিউল বলেছেন, ‘‘সাহানাতুল্লার সঙ্গে মেলামেশা করত আমার স্ত্রী। সালিশি সভায় মিটমাট হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাই আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি।’’ তবে এবিষয়ে মরিফা ও সাহানাতুল্লার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.