Advertisement
Advertisement

Breaking News

Guskara

প্রেমিকার বিরহ! নাওয়াখাওয়া ভুলে ১৪ বছর অন্ধকার ঘরেই কাটিয়ে দিল যুবক

স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে যুবককে।

A youth of guskara come out from room after 14 years | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 10, 2021 12:03 pm
  • Updated:December 10, 2021 4:44 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: চোখের নিমেষে বদলে গিয়েছিলেন। নিজেকে বন্ধ করে ফেলেছিলেন একটা ঘরে। ১৪ বছর পর পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার সেই যুবক দেখলেন সূর্য।

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার বাসিন্দা শিবু বারুই। কোনওদিনই কোনও সমস্যা ছিল না। বছর ১৪ আগে কাজ হারানোর পর আচমকাই নিজেকে বন্দি করে ফেলেন শিবু। তবে শোনা যায়, নিজেকে বন্দি করার পিছনে ছিল প্রেমিকার সঙ্গে বিচ্ছেদও। সেই থেকে এতগুলো বছর বদ্ধঘরে কেটে গিয়েছে। শত চেষ্টা করেও তাঁকে সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখাতে পারেননি কেউ। ঘরের মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া থেকে মল-মূত্র ত্যাগ, সবটাই করতেন তিনি। নিজে যেমন বেরতেন না তেমন কেউ সেখানে যান, তাও না পসন্দ ছিল।

Advertisement

ওই যুবকের মা কমলাদেবী জানান, “আর পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক ছিল শিবু। একটি দোকানে কাজ করত। কিন্তু ১৪ বছর আগে হঠাৎ কেমন বদলে যায়। ঘর থেকে আর কোনওমতেই বেরতে চায় না। কারও সঙ্গে কথা বলা পছন্দ করে না। তার ঘরে কেউ ঢুকলেই বিরক্ত হয়। বদ্ধ ঘরের তক্তার নিচে থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ হয়ে ওঠে শিবুর কাছে।”

A youth of guskara come out from room after 14 years

[আরও পড়ুন: ‘কপ্টার ভাঙার খবরেই বুঝেছিলাম সব শেষ’, বলছেন কুন্নুর দুর্ঘটনায় নিহত বাংলার জওয়ানের স্ত্রী]

বারুই পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস কমলাদেবীর পুত্রবধূ অর্থাৎ শিবুর বৌদি অঞ্জু বারুই। তিনি পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান। অঞ্জুদেবী বলেন, “আমার দেওর স্বাভাবিকই ছিল। একটা দোকানে কাজ করত। পরে ওই দোকানের মালিক কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন। তারপর থেকেই বাড়ি থেকে বের হতে চাইত না। ঘরবন্দি হয়ে গেল।” যদিও এর কারণ প্রেমিকার বিরহ হতে পারে বলেও দাবি অঞ্জুদেবীর। তাঁর কথায়, “ওর কাছে একটি বাক্স থাকত। ওই বাক্সের মধ্যে একটি মেয়ের ছবি দেখেছিলাম। কোনও প্রেমঘটিত কারণ নাকি কাজ চলে যাওয়ার হতাশা থেকে এমন হয়ে গেল তা ঠিক জানি না।”

অসাধ্য সাধন করেছেন নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্তা সুমন্ত আইচ। নিজের উদ্যোগে শিবুকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে গিয়েছেন নেশামুক্তি কেন্দ্র। দীর্ঘদিন পর কাটা হয়েছে চুল, নখ। স্নান করিয়ে যেন এক অন্য শিবুকে জন্ম দিয়েছেন সুমন্তবাবু। শিবুকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোই এখন লক্ষ্য তাঁর। নতুন করে ছেলে নিজের কাছে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন গুসকরার বৃদ্ধা মা।

দেখুন ভিডিও: 

 

[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত দেড়শতাধিক, রাজ্যে বাড়ছে সুস্থতার হার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement