সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তপ্ত দিল্লি থেকে গতকালই ঘরে ফিরেছেন ইটাহারের ৪০ জন বাসিন্দা। কিন্তু এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের প্রায় বহু শ্রমিক। ঘর ছেড়ে ত্রান শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন গোয়ালপোখরের বাসিন্দা মহম্মদ আজাদ। লুকিয়ে কোনও ক্রমে এলাকা ছাড়তে পারলেও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। তাই মৃত্যুভয় প্রতিমুহূর্তে তাড়া করছে তাঁকে। আতঙ্কে কাঁটা পরিবারও।
বছর ১৫ আগে পেটের টানে ঘর ছেড়ে দিল্লি পৌঁছেছিলেন ইটাহারের বাসিন্দা মহম্মদ আজাদ। উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুরনো গড়হি মেন্ডু গ্রামে থাকতে শুরু করেন। স্ত্রী-সন্তানও পরবর্তীতে তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। সম্প্রতি একদিন আজান চলাকালীন মসজিদে হামলা চলে। এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছোঁড়ে একদল। তখনই কোনওরকমে স্ত্রী-ছেলের হাত ধরে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে শ্রীরাম কলোনি এলাকায় আশ্রয় নেন আজাদ। সেখানে ৩ বেলা খাবার আসছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা থেকে। ছেলের দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে আজাদের পরিবারের। গলার স্বরটুকু শুনতে গোয়ালপোখর থেকে বারবার ছেলেকে ফোন করছেন আজাদের মা। প্রতিমুহূর্তে ভয় তাড়া করছে তাঁকে।
একই পরিণতি হয়েছে দিল্লিবাসী উত্তর দিনাজপুরের বহু বাসিন্দার। গোয়ালপোখর ছেড়ে জীবিকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকলেও বর্তমানে আশ্রয় শিবিরে ঠাঁই হয়েছে মহম্মদ আনিফ, আবদুল সাত্তারের। কারণ, আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কারও বাড়ি। কোথাও আবার ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কতদিনে শান্ত হবে দিল্লি, সেই অপেক্ষাতেই আবদুল সাত্তার, মহম্মদ আজাদের মতো বহু শ্রমিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.