Advertisement
Advertisement
শিকল

ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন, যুবককে ৫ বছর ধরে শিকলবন্দি রেখেছে বাবা-মা

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক।

A youth named Barun Ram chained for last 5 years in maldah district
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 24, 2020 4:38 pm
  • Updated:February 24, 2020 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বছর আগেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে একমাত্র ছেলে। তাই ঘর থেকে বের হলে যদি আক্রান্ত হতে হয় অন্যদের হাতে, বা যদি মনের খেয়ালে বেড়িয়ে পড়ে ঘর থেকে, স্রেফ এই আশঙ্কায় ৫ বছর ধরে বছর ছাব্বিশের ছেলের পায়ে শিকল পরিয়ে রেখেছেন বাবা-মা। মর্মান্তিক এই ঘটনা মালদহের।

মালদহের বারুইপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিবশংকর রাম। পেশায় শ্রমিক ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী সেমি রাম ও সন্তানদের নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকেন। জানা গিয়েছে, রাম দম্পতির ছেলে বরুণ আট বছর বয়সে মানসিক ভারসাম্য হারান। আর্থিক অনটন নিত্যসঙ্গী হওয়া সত্ত্বেও ছেলের চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি রাখেনি রাম দম্পতি। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। বছর পাঁচেক আগে আচমকাই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় বরুণ। দিনভর খোঁজাখুঁজির পর বামনগোলার একটি বাড়িতে হদিশ মেলে তাঁর। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পরই ছেলেকে শিকলে বেঁধে রেখেছেন রাম দম্পতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাস্তা থেকে বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কাঠগড়ায় তৃণমূল]

ওই যুবকের মায়ের কথায়, একা থাকলেই এদিক ওদিক চলে যান বরুণ। একাধিকবার ঘর ছে়ড়ে চলেও গিয়েছিলেন তিনি। ফের ছেলেকে হারাতে চান না। সেই সঙ্গে রাস্তায় বের হলেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আর এই কারণেই শেষ পাঁচ বছর ধরে পায়ে বাঁধা শিকল আর স্যাঁতসেঁতে ঘরই জগৎ বরুণের। বিষয়টি জানার পর দুঃখপ্রকাশ করেন বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার। এভাবে শিকলবন্দি করে রাখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাশপাশি, বরুণের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাসও দেন।

[আরও পড়ুন: হলদিয়া কাণ্ডের রহস্যভেদ, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় মা-মেয়েকে পুড়িয়ে খুন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement