সৌরভ মাজি, বর্ধমান: স্কুলে যাওয়া-আসার পথেই প্রতিবেশী যুবকের প্রতি ভাললাগা তৈরি হয়েছিল বছর ষোলোর কিশোরীর। পরবর্তীতে সম্পর্কও তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু বিষয়টা কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি কিশোরীর পরিবার। যার জেরে আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিল নাবালিকা। খবর পাওয়া মাত্রই প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে তার মৃতদেহেই সিঁদুরদান সারল যুবক। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের (Nadanghat)।
পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা ওই কিশোরীর নাম তনিমা মণ্ডল। স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল ওই কিশোরী। বিষয়টি নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা জানার পর থেকেই কিশোরীকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে শুরু করে সম্পর্ক ছাড়ার জন্য।মারধর- বকাবকিও করা হয়। মেয়ের প্রেমিক তথা প্রতিবেশী ওই যুবককে তাঁদের বাড়িতে যেতেও বারণ করে দেয় কিশোরীর পরিবার। বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয় তাঁদের। একাধিকবার ওই নাবালিকা পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টাও করে। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয়নি। ফলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে সে। এই পরিস্থিতিতে ঘর থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। খবর পাওয়ামাত্রই প্রেমিকার বাড়ি ছুটে যায় ওই যুবক।
জানা গিয়েছে, এরপর তনিমার বাড়িতে দাঁড়িয়ে আচমকা মৃত প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেয় ওই যুবক। মেয়ের প্রেমিকের আচরণে হতবাক হয়ে যান তনিমার বাবা-মা। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, ওই ঘটনার জেরে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয়রা। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তিনি। যদিও মৃতার পরিবারের সদস্যের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে তনিমার কোনও সম্পর্কই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে কিশোরীকে উত্যক্ত করত সে। পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবকের চাপেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই নাবালিকা। আসল সত্য উদঘাটন করতে মৃতার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.