অর্ণব দাস ও শেখর চন্দ্র: ফের শুটআউট ভাটপাড়ায় (Bhatpara)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ছোঁড়া দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন একজন। শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষপাড়া রোডের রুস্তম গুমটি এলাকার বড় মসজিদের কাছে। ঘটনাস্থল থেকে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়িও খুবই কাছে।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম টিঙ্কু ওরফে রিজওয়ান আলি(২৬)। শুক্রবার সন্ধেয় ঘোষপাড়া রোডের বড় মসজিদের কাছে একটি দোকানে বসেছিলেন রিজওয়ান। কয়েকজন দুষ্কৃতি এসে তাঁকে ডাকে। অভিযোগ, এরপরই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে টিঙ্কুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তার গলার নিচে একটি গুলি লাগে। দুষ্কৃতীরা অন্য এক যুবককে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। কিন্তু সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। উপস্থিত স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ যুবককে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
এই ঘটনার পরই এলাকায় শুরু হয় বোমাবাজি। অভিযোগ, এলাকায় সাত-আটটি বোমা পরে। একটি বাড়িও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় জগদ্দল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছন বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “যাকে খুন করা হয়েছে এবং যে খুন করেছে দু’জনেই অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। দু’জনের মধ্যে পুরনো শত্রুতা ছিল। এর আগেও এরা একে অপরকে মারধর করেছিল। দু’জনে আগে গ্রেপ্তারও হয়েছিল। পুরনো শত্রুতা থেকেই এই খুন বলেই ধারণা। শোনা যাচ্ছে যে খুন করেছে তার নাম গানুয়া ওরফে গণেশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।” প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ভাটপাড়ায় খুন হয়েছিলেন দুই যুবক। ফের এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে, আসানসোলেও (Asansol) চলল গুলি। জখম কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডলের ভ্রাতৃবধূ চৈতালি। বাড়িতে থাকাকালীনই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ওই মহিলা। কে বা কারা এই ঘটনায় যুক্ত, তা জানা যায়নি। ডিসি সেন্ট্রাল এস এস কূলদ্বীপ বলেন, “ঘটনার কথা জেনেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।” পুরো ঘটনায় মণ্ডল পরিবার মুখে কুলুপ এঁটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.