রাজা দাস, বালুরঘাট: বাড়ির বাইরে বেরলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। রবিবার থেকে এ রাজ্যে জারি হয়েছে এই নির্দেশিকা। কিন্তু বাজারে অমিল N95 মাস্ক। তাই এধরনের মাস্ক বানিয়ে সাধারণ মানুষকে দিশা দেখালেন বালুরঘাটের এক যুবক। প্রয়োজনে ঘরে বসেই উন্নত মানের এই নিরাপত্তা মুখোশ তৈরি করা যাবে বলেই দাবি তাঁর।
রাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তেই দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তৈরি উন্নত মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার অমিল হতে শুরু করেছিল। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে সেই অভাব মেটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উন্নত মাস্ক তৈরির ব্যবস্থা ছিল না এই জেলায়। তবে কাজ চালানো বা নিয়ম রক্ষার্থে বহু দল বা সংগঠন কাপড় বা অন্য সামগ্রী দিয়ে সাধারণ মাস্ক তৈরি করে বিলির উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি বাজারেও এই মাস্ক জোগান দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু উন্নত মানের মাস্ক অমিলই ছিল বাজারে।
সেদিকে নজর রেখেই বালুরঘাট খাদিমপুর এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মালাকার নামে এক যুবক N95 জাতীয় মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। তবে এই মাস্ক তৈরি পদ্ধতি জানতে ইন্টারনেটের সাহায্য নেন তিনি। সেখান থেকে শিখেই রীতিমতো পেশাদারদের মতো বিশেষ উন্নত জাতীয় মাস্ক তৈরি করেছেন। তাঁর দাবি, দু, চারটি সামান্য ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের মাস্ক তৈরি করা যায়। খরচ নামমাত্র। ঘরে তৈরি এই মাস্ক জীবাণু সংক্রমণ আটকাতে নিশ্চিন্তে বাইরে ব্যবহার করতে পারেন যে কেউ।
বাপ্পা মালাকার নিজেই বলছেন, “N95-এর মতো উন্নত মাস্ক তৈরি করতে আমি ইউটিউবের সাহায্য নিয়েছি। সেখান থেকে দেখেই আমি বেশ কিছু মাস্ক বানিয়েছি। পোশাক বহন করার এক জাতীয় বিশেষ কাপড়ের ব্যাগ কেটে তিনটি লেয়ার বানাই প্রথমে। সবার নিচে অবশ্য টিস্যু কাপড় দিতে হয়েছে। সেটি হাতে বা মেশিনে সেলাই করে মুখের মাপ বা আকারে নিয়ে আসতে হবে। নাকের অংশের নিচে একপাশে খানিকটা গোল ফুটো করতে হবে। সেখানে অব্যবহার যোগ্য জলের বোতলের মুখ বা খাপ লাগাতে হবে। তাতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ছিদ্র করা আবশ্যিক। যা দিয়ে অক্সিজেন নেওয়ার পাশাপাশি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করা যাবে।” এই ভাবে বাড়িতে বসেই উন্নত মানের মাস্ক তৈরিতে পথ দেখিয়েছেন বালুরঘাটের এই যুবক। খুব বেশি দাম ছাড়াই যা ব্যবহার করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.