অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়াল খড়গপুরে স্টেশনে। জানা গিয়েছে, চিকিৎসা করিয়ে ফিরছিলেন ওই যুবক। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্টেশনেই মৃত্য হয় তাঁর। চোখের সামনে ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের বাবা। তরতাজা ছেলের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকস্তব্ধ নদিয়া।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের নাম সুনীল সরকার। দীর্ঘদিন ধরে লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সেই কারণে চিকিৎসার জন্য কিছুদিন আগেই বাবার সঙ্গে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন ওই যুবক। শনিবার সত্যসাই এক্সপ্রেসে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় ট্রেনের ভিতরই অসুস্থ বোধ করেন সুনীল। অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় যুবকের বাবা কোনওরকমে তাঁকে খড়গপুর স্টেশনে নামায়। এরপর গোটা বিষয়টি রেল আধিকারিকদের জানানো হয়।
বেশ কিছুক্ষণ খড়গপুর স্টেশনেই পড়েছিলেন ওই যুবক। এরপর রেলের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হলে সুনীলকে নিয়ে যাওয়া হয় রেলওয়ের হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন হরিমোহন সরকার। কী করবেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। সুস্থ করে ঘরে ফেরাতে ছেলেকে নিয়ে বেঙ্গালুরু পাড়ি দিয়েছিলেন হরিমোহনবাবু। ভাবতেও পারেননি সন্তানের দেহ নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। সুনীলের বাবা জানান, ” লিভারে সমস্যা ছিল ছেলের। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় চিকিৎসদের তত্ববধানে ছিল সুনীল। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। সেই কারণেই বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসার পর অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। ভাবতে পারিনি এরকম পরিণতি হতে পারে।” সুনীলের মৃত্যুর খবর নদিয়ায় পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্য থেকে গ্রামের বাসিন্দারা। আক্ষেপের সুরে কেউ বলছেন, হয়তো আর কয়েক মুহূর্ত আগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যেত সুনীলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.