সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দু’বেলার খাবার জোটানোই দায়। ফলে সন্তানের চিকিৎসা চালানো অসম্ভব বাবা-মায়ের। সেই কারণেই বছরের পর বছর শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন কাঁকসার বিদবিহারের অজয়পল্লীর যুবক। বিষয়টি জানার পরই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
দুর্গাপুরের কাঁকসার বিদবিহারের অজয়পল্লীর বাসিন্দা শংকর সরকার। বয়স ২৫ বছর। তাঁর বাবা পেশায় ভ্যান চালক, মা পেটের দায়ে দিনমজুরি করেন। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান শংকর ছেলেবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। বেশ কয়েকবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাও হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সুফল মেলেনি। বরং উলটে শংকরের বাম চোখও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ফলে বড় কোনও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেনি যুবকের পরিবার।
এদিকে ছেলে মাঝে মধ্যেই এদিক-ওদিক চলে যায়। কী উপায়? তাই সন্তানকে লোহার শিকলে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাবা-মা। ওভাবেই কাটছিল দিন। শংকরও মেনেই নিয়েছিল এই জীবন। শিকল বাঁধা অবস্থাতেই মাঝে মাঝে বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। এবিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় জানান, “বিষয়টি জানা ছিল না। অভাবী পরিবারের ছেলেটি যাতে চিকিৎসার সুযোগ পায় তার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করব।”
জানা গিয়েছে, শংকর খুব একটা বিরক্ত করে না কাউকে। নিজের মতোই থাকেন। মুখে বলতে না পারলেও সুস্থ হয়ে উঠতে চান তিনি। ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। ছেলের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় বাবা-মাও। এবিষয়ে কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য জানান, “স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই যুবকের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.