ছবি: প্রতীকী।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে (Lynching) প্রাণ গেল এক যুবকের। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার সোনাপুরের কাজিগজ। ওই যুবকের দেহের পাশ থেকে একটি কার্তুজ এবং পাইপগান পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় এখনও কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবক রবিবার গভীর রাতে এলাকায় হানা দেয়। গরু চুরি করাই লক্ষ্য ছিল তার। এলাকায় অপরিচিত যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। নানা প্রশ্ন করতে থাকেন তাকে। সে উত্তর দিতে রাজি হয়নি। পরিবর্তে এলাকাবাসীর জেরা থেকে বাঁচতে দৌড়তে থাকে সে।
অভিযোগ, দৌড়নোর সময় গুলিও চালায় সে। যদিও অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের গুলিতে জখম হননি কেউ। তারপর এলাকায় একটি গর্তের মধ্যে পড়ে যায় সে। সেই সময় দ্বিতীয়বার তাকে ঘিরে ধরেন স্থানীয়রা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। মারের চোটে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই যুবক। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে সে। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই যুবককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, বেশ কিছুক্ষণ আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এ বিষয়ে তথ্যের খোঁজে পুলিশ স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে খাস কলকাতায় গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। ট্যাংরার (Tangra) বাসিন্দা এক কিশোরকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এনআরএস হাসপাতালে ভরতিও করা হয় তাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুই হয় তার। কিশোরের মৃত্যুতে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। দিনকয়েক আগে মালদহে মানসিক ভারসাম্যহীনকে স্রেফ চোর সন্দেহে মারধর করা হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গণপিটুনিতে প্রাণহানিকে কেন্দ্র করে শিরোনামে চোপড়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.