Advertisement
Advertisement
প্রমোটর

পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পরপর গুলি, কাটোয়ায় রাস্তার মাঝেই খুন প্রমোটর

কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

A youth allegedly killed by some goons in Katwa, no one arrested
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 5, 2020 10:20 am
  • Updated:February 5, 2020 10:24 am  

ধীমান রায়, কাটোয়া: আর্থিক বিবাদ নাকি রাজনৈতিক টানাপোড়েন, কাটোয়ার প্রমোটর খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় ওই প্রমোটরকে। নিহত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী বলেই দাবি পরিবারের। পাপ্পু মণ্ডল নামে পরিচিত এক যুবক খুনের ঘটনায় জড়িত বলেই দাবি নিহতের পরিজনদের। যদিও সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন ওই প্রমোটর বলেই জানিয়েছে বিজেপি।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ন’টা নাগাদ কাটোয়া কলেজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন রথীন বিশ্বাস নামে ওই প্রমোটর। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় তাঁর বাইক থামিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা গুলির শব্দ পেয়ে হুড়মুড়িয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। রথীনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের খাতায় বারবার নাম উঠে এসেছে রথীনের। পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে প্রমোটিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন রথীন। তবে এর আগে গাঁজা পাচার, অস্ত্র পাচার-সহ একাধিক মামলায় নাম জড়িয়েছে তার। বোমা বাঁধতে গিয়ে একটি হাতও উড়ে গিয়েছিল রথীনের। এলাকায় তাই ‘হাতকাটা রথীন’ নামেও পরিচিতি ছিল। নানা অসামাজিক কাজকর্মের মাধ্যমে খুব অল্পদিনেই প্রচুর টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে ওই যুবক। খুনের নেপথ্যে আর্থিক বিবাদের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই মুখভার আকাশের, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টিতে ভিজতে পারে রাজ্য]

তবে রথীনের মৃত্যুর ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। কাটোয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বাড়ি রথীনের। বাবা, মা ছাড়াও তিন ভাই ছিল তার। নিহতের বাবা বলেন, “আমি বরাবর তৃণমূল করি। তাই রথীনও তৃণমূলের সঙ্গেই জড়িত ছিল। কিন্তু এত বড় যে ঘটনা ঘটবে তা ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় ওর বন্ধু পাপ্পু মণ্ডল জড়িত।” কিন্তু কে এই পাপ্পু মণ্ডল? জানা গিয়েছে, রথীনের বেশ কাছের বন্ধু ছিল পাপ্পু। নানা অসমাজিক কাজে রথীনকে মদত দিত। প্পাপু এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী। সে রথীনকে খুন করিয়েছে বলেই দাবি নিহতের পরিবারের। যদিও বিজেপির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব জড়িত। পুলিশ আপাতত রথীনের পরিচিতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement