ছবি: প্রতীকী
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দ্বিতীয় স্ত্রীর সহযোগিতায় প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তানকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে শ্রীঘরে গেলেন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার ঝালদার পুরনো ঝালদা এলাকায়। সহযোগিতার অভিযোগে ওই যুবকের জামাইবাবু ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তারা। মূল অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সন্টু কুইরি। বাড়ি পুরনো ঝালদা এলাকায়। কয়েকবছর আগে বাঘমুন্ডির সিন্দরি গ্রামের বাসিন্দা শকুন্তলা কুইরিকে বিয়ে করেছিলেন সন্টু। বিয়ের পর থেকে সুখে-শান্তিতেই সংসার করছিলেন ওই দম্পতি। তাঁদের দুটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে ঝালদার কড়াডি গ্রামের বাসিন্দা রেখা কুইরির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল সন্টু। তারপরও দীর্ঘদিন স্বাভাবিক ছিল সবকিছু।
শনিবার জামাইবাবুর সহযোগিতায় ঝাড়খন্ডের ছিন্নমস্তার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে রেখা দেবীকে বিয়ে করে সন্টু। নতুন স্ত্রীকে নিয়ে পুরনো ঝালদার বাড়িতে ওঠে ওই যুবক। এরপরই অশান্তির সূত্রপাত। অভিযোগ, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরই শুকুন্তলাদেবী ও তার সন্তানদের মারধর করতে শুরু করে সন্টু। এমনকী তাঁদের ঘর থেকে তাড়িয়েও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে শকুন্তলাদেবী স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্টু, তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও জামাইবাবু কাঞ্চন কুইরিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবারই ধৃতদেরকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত সন্টুকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। পুলিশ সূত্রে খবর, শকুন্তলাদেবী জানিয়েছে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সন্টু তাঁর উপর নির্যাতন করতে শুরু করে। কিন্তু এভাবে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে চমকে গিয়েছেন তিনিও। বর্তমানে বাঘমুন্ডিতে বাপের বাড়িতে রয়েছেন শকুন্তলাদেবী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.